কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন ফাতড়ার বনাঞ্চল ভ্রমন শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচ পর্যটক আহত হয়েছে। রশি দিয়ে বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে নারী পর্যটকদের। ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তাদের সাথে থাকা নগট টাকা, স্বর্নালংকার ও মোবাইল ফোন।

গত শুক্রবার সন্ধার পর খালগোড়া এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এ সন্ত্রাসী হামলা ও তান্ডবের খবর পেয়ে মহীপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করে। সন্ত্রাসী হামলায় আহত পর্যটক লিজা, চম্পা, নাজমা, ইব্রাহিম ও মিজানকে রাতেই প্রথমে মহীপুর স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও পরে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক আকন্দের ছেলে সোহাগ আকন্দ, তার ফুফাতো ভাই মামুন হাওলাদার, এদের সহযোগী ফজলু, নুরুল হক, ফেরদৌস, শাহিদ, সোহরাবসহ অন্তত ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র পর্যটক দলের নারী-পুরুষ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় শনিবার আহত পর্যটক খুলনার চম্পা সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, শুক্রবার তারা কুয়াকাটায় বেড়াতে আসেন। বেলা ১১টার দিকে তারা ফাতড়ার বনাঞ্চলে ট্রলারযোগে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় খালগোড়া পয়েন্টে ফেরার সময় আসামিরা তাদের ওপর হামলে পড়ে। ট্রলার থেকে লিজা ও নাজমাকে টানা হেচড়া করে নামানো হয়। লাথি কিলঘুষির পাশাপাশি একটি জিআই পাইপ দিয়ে শরীরে বেধড়ক পেটানো হয়। এমনকি ন্যাক্কারজনকভাবে শ্লীলতাহানি করা হয়। মারধর করা হয় অপর নারী সদস্য চম্পাকে। রক্ষা পায়নি পুরুষ সদস্য ইব্রাহিম ও মিজানুর।

চম্পা জানায়, সে তার বন্ধু খুলনার লিজা ও গাজীপুরের নাজমাকেসহ সাতজনে মিলে ট্রলারযোগে ফেরার পথে এদের হামলার শিকার হন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী হামলা-তান্ডবের পরে স্থানীয় লোকজন ও মহিপুর পুলিশের সহায়তা তারা রক্ষা পায়। এসময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চম্পার বাড়ি বরগুনার আমতলী এবং বাকিদের বাড়ি খুলনা ও গাজীপুরে।

কলাপাড়া থানার ওসি(তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, পর্যটকদের নিরাপদে বাসায় ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(এমকেআর/অ/নভেম্বর ২২, ২০১৪)