মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের সাবেক ও বতর্মান কাউন্সিলরের মধ্যে শুক্রবার ভোরে আধিপত্ব্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ বাধে। এসময় উভয় গ্রুপ অর্ধশত ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এসময় পুলিশ ২টি ককটেল উদ্ধার ও একজন আটক করেছে। এতে ২ জন আহত হয়। উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পুর্বশত্রুতা ও আধিপত্ব্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে সাবেক কাউন্সিলর খলিল হাওলাদার ও বতর্মান কাউন্সিলর অলিল হাওলাদারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দুজনের মধ্যে হামলা-মামলার ঘটনা লেগেই থাকে।
ঘটনার দিন শুক্রবার ফজরের নামাজের জন্য খলিল হাওলাদার ও তার পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে জেগে ঘরের বাহিরে যায়। এসময় অলিল হাওলাদারের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে খলিলের স্ত্রী মিনারা বেগম (৪৭) ও আলাউদ্দিন হাওলাদার (৩৫) ২জন গুরুতর আহত হন। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয় গ্রুপ অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার ও রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মাসুদ হাওলাদারকে (২০) পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থল দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা ও পাতাবালী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ফজরের নামাজের সময় আমার ভাই খলিল হাওলাদার ও ভাবী ঘরের মধ্যে থেকে বের হলে অলিল হাওলাদারের সমর্থক বোমারু মস্তফা হামলা চালায় এতে মিনারা বেগম আহত হন। আমি ঘর থেকে দেখতে গেলে তারা আমার উপরও হামলা চালায়।
কালকিনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংর্ঘষের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ এখনও পাইনি পেলে মামলা নেয়া হবে।

(এএসএ/এলএস/মে ২, ২০১৪)