মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার পুর্ব দর্শনা গ্রামের সুবির দাসের মেয়ে সিতু পাল (২২) নামের এক গৃহবধু খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ খুনের ঘটনা ঘটে।

খুন হওয়ার পর থেকে স্বামী অংকুর পাল ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছে।
পারিবারিক, স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ৪ বছর আগে একই এলেকার লক্ষণ পালের ছেলে অংকুরের সাথে সিতু পালের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। ৪/৫ দিন আগে সিতুকে তার স্বামী মারধর করে বাড়ীতেই আটকে রাখে।
সিতুর অবস্থার অবনতি হলে পাশের বাড়ীর লোকজন দর্শনা বাজারের পল্লি চিকিৎসক শিবনাথ বাড়ৈকে খবর দেয়। চিকিৎসক এসে রোগির অবস্থা খারাব দেখে মেয়ের বাবাকে জানায়। তারা সেখান থেকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। মাদারীপুরে নেয়ার পথে সিতু মারা যায়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ বাড়ীতে ঐদিন রাতে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
সিতুর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। সিতুর বাবা সুবির দাস ডাসার থানায় মামলা দিতে গেলে তারা ময়না তদন্ত রির্পোট না আসা পর্যন্ত মামলা না নেয়ার কথা জানায়। তবে মাদারীপুর সদর থানায় একটা অপমৃত্যুর ডায়েরী হয়েছে।
এব্যাপারে নিহতের বাবা সুবির দাস বলেন, আমি দুবাইতে থাকতে সিতুর উপর নির্যাতন ঠেকাতে মাঝে মধ্যে মেয়ের জামাইকে টাকা দিতাম। দেশে আসার সময় মেয়ের জন্য একটা স্বর্ণের চেইন এনে ছিলাম। সেটা মেয়ের জামাই এর পছন্দ না হওয়ায় গত ৮/৯ দিন আগে মাদারীপুর থেকে নতুন আর একটা চেন এনে দেই। এরপরও আমার মেয়েটা তাদের হাত থেকে রক্ষা পেলনা।
ডাসার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, যেহেতু মাদারীপুর সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর ডায়েরী করা আছে। সেহেতু ময়না তদন্ত রির্পোট ছাড়া মামলা নেয়া যায়না।

(এএসএ/এলএস/মে ২, ২০১৪)