স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোক্টে রুহুল কবির রিজভী বলেছেন ‘লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারে সরকারের আন্তরিকতা নেই’। গ্রেফতার নিয়ে নাটক তৈরি করে জনবিচ্ছিন্ন সরকার জনগণের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতে চায়।

লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে নিউইয়র্কের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের জীবন দর্শন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার বিকেল তিনটায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিমানবন্দরে আলোচিত স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন জড়িত এমন দাবি করেন রিজভী আহমেদ বলেন, এই জামাল উদ্দিন বিমানবাহিনীর মিগ-২৯ ক্রয়ে দুর্নীতির অন্যতম হোতা। এর পুরস্কারস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিমানের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সোচ্চার হলেও প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তিনি রয়েছেন বহালতবিয়তে। উল্টো তিন মন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছেন। কিন্তু জামাল উদ্দিনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কি স্বার্থ আছে তা জাতি জানতে চায়।

রিজভী বলেন, আমাদের দেশের ভোটারবিহীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর মুখে সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বড় বড় গালভরা কথা শোনা যায়, আর দুর্নীতির বরপুত্ররা সবাই তার ঘনিষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা শুনে একটা প্রবাদ মনে পড়ে গেল-সব চুরিই পাপ, তবে সুযোগ পেলে ছাড়তে নেই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর নিউইয়র্কে দেয়া বক্তব্যে যে জীবন দর্শন ফুটে উঠেছে সেটা আওয়ামী লীগেরই জীবন দর্শন। ফলে তার গ্রেফতারে সরকারের আন্তরিকতা নেই। যা হচ্ছে এটা নাটক, প্রহসন।

তিনি বলেন, সরকার যে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তা থেকে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা গণমাধ্যমে খবর দেখলাম তিনি (লতিফ) বিমানবন্দরে এসে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে সযন্তে বের হয়ে গেছেন।

আর এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সরকার নানাভাবে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। তবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচির যে গতি ও প্রকৃতি তা অব্যাহত থাকবে। আরো নতুন কমর্সূচি নিয়ে আমরা নামব। কারণ মানুষ বিএনপির কর্মসূচির দিকে তাকিয়ে আছে।

খালেদা জিয়া লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, আমার জানা নেই। তবে সবকিছুর নেপথ্যে কাজ করছে সরকার। তাদের টার্গেট হচ্ছে জিয়া পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শিক্ষা সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, অর্থনৈতিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-তথ্য সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল কবীর শাহীন, যুবদল সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০১৪)