শেরপুর প্রতিনিধি : বীজ সংরক্ষণ থেকে শস্য উৎপাদন পর্যন্ত কৃষি উৎপাদনের ২৪ প্রকারের কর্মকান্ডের মধ্যে নারীরা সরাসরি ১৬ প্রকারের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। কিন্তু তা স্বত্তেও কৃষিক্ষেত্রে নারীর কর্মের কোনো স্বীকৃতি নেই। তাই নারীরা আজোও সমাজে অবহেলিত। খাদ্য নিরাপত্তায় নারী কৃষকদের স্বীকৃতি ও অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে জাতীয় প্রচারাভিযান। এ উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার শেরপুরে এক মতবিনিময় সভায় ২ আদিবাসী সহ ৬ নারী কৃষককে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানানো হয়েছে। সম্মাণনাপ্রাপ্ত নারী কৃষকরা হলেন-শেরপুর সদরের হাতিআলগা গ্রামের সালেহা বেগম, রোকিয়া রবিদাস ও মহুয়া বেগম, ঝিনাইগাতী উপজেলার নকশী গ্রামের মায়াদেবী কোচ, শালচুড়া গ্রামের রিপারানী কোচ ও গান্ধীগাঁও গ্রামের নাজমা বেগম।

‘ক্ষেতজুড়ে ওই সোনার ধান, নারী শ্রমিকের অবদান’-এ শ্লোগানে শেরপুর খামারবাড়ী মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ের এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। দাতা সংস্থা অক্সফাম-সিএসআরএল এবং গ্রো’র সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘শাড়ি’ ও ‘এসবিসি’ যৌথভাবে মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে।

এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন প্রধান অতিথি এবং খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুস সালাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসবিসি’র সভাপতি রবেতা ম্রং-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া, সমাজকর্মী সাজেদা পারভীন ঝিনুক, সোলায়মান আহমেদ, নীলিপ ম্রং, সাংবাদিক আনিসুর রহমান আকন্দ, নারী কৃষক আছিয়া বেগম, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, কৃষিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও সংগঠক এবং তৃণমূলের কৃষক-কৃষানীরা অংশগ্রহণ করেন।

সভা শেষে শেরপুর জেলায় শাড়ি ও এসবিসি’র কর্ম এলাকার তৃণমুলের নারী কৃষকের মধ্য হতে ২ জন আদিবাসী সহ ৬ জনকে জেলার শ্রেষ্ঠ নারী কৃষক হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

(এইচবি/এএস/নভেম্বর ২৫, ২০১৪)