মাগুরা প্রতিনিধি :আজ ২৬ নভেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কামান্নায় পাক-বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন মাগুরার ২৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা ওই ২৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে সে সময় কামান্না গ্রামে একাধিক গণ-কবরে সমাহিত করা হয়। কামান্না শহীদদের স্মরণে তাদের নিজ এলাকা মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। প্রতি বছরের ন্যায় আজ ২৬ নভেম্বর কামান্না শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মিলাদ মাহফিল , আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

তবে দীর্ঘদিন ধরে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা কামান্না থেকে ২৮ শহীদের কবর নিজ এলাকা মাগুরা সদরের হাজীপুর গ্রামে স্থানান্তরের দাবী জানিয়ে আসছেন। পাশাপাশি তারা মানবেতর জীবন যাপনকারী শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুণর্বাসনের দাবী জানিয়েছেন।

কামান্না যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া হাজীপুর বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার আবু বক্কর জানান-১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে হাজীপুর বাহিনীর একদল মুক্তিযোদ্ধা কামান্না গ্রামে রাত্রি যাপনের জন্য মাধব কুন্ডু নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে অবস্থান নেয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের এ খবর স্থানীয় রাজাকাররা ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও মাগুরায় পাক বাহিনীর ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়। খবর পেয়ে রাজাকার আলবদর বাহিনীর সহযোগিতায় শৈলকুপা ও মাগুরা থেকে আসা পাক সেনারা ২৬ নভেম্বর ভোর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করে। কিন্তু সুসজ্জিত পাকিস্থানী বাহিনীর আক্রমনের মুখে ঘটনাস্থলেই ২৮ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

পাক সেনারা চলে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা এলাকাবাসীর সহায়তায় কামান্না স্কুল মাঠের পাশে নদীর তীরে একাধিক গণ কবরে ২৮ বীর শহীদদের সমাহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, ২৮ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকের পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। মুক্তিযোদ্ধারা। এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনঃবাসনের দাবী জানিয়েছেন ।


(ডিসি/এসসি/নভেম্বর২৬,২০১৪)