স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন করার দাবিতে আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী ঐক্যজোট।

বুধবার বেলা ১১টায় কামরাঙ্গীর চরে অবস্থিত লালবাগ মাদ্রাসায় ইসলামী ঐক্যজোটের এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যেজোটের সাংগাঠনিক সম্পাদক মুফতি ফয়জুল্লাহ মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।


তিনি জানান, লতিফ সিদ্দিকী গ্রেফতার হওয়ায় বৃহস্পতিবারের হরতাল থেকে সরে আসা হয়েছে। তবে তার ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন চলবে। রাজপথে তারা প্রতিবাদ মুখর থাকবেন। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন।


এদিকে হেফাজতের মুখপাত্র আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, ইসলামী ঐক্যজোট হেফাজতের একটি অংশ। বিভিন্ন ছোট ইসলামী দল নিয়েই হেফাজত গঠিত হয়েছে। তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছে। সেই সমাবেশে হেফাজতের সবাই অংশ নেবেন কি-না তা এখনই বলার সময় আসেনি। আল্লামা শাহ আহমদ শফী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ওই সমাবেশে হেফাজতের নেতাকর্মীরা থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


লতিফ সিদ্দিকী গ্রেফতার হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু গ্রেফতার নয় তাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাকে ফাঁসি দিতে হবে। তার শাস্তি দেখে বাংলার মাটিতে যেন এরকম কথা কেউ না বলে।


এর আগে গত সোমবার লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বায়তুল মোকাররমের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে হরতাল অবরোধসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা মহানগর আহবায়ক নূর হোসাইন কাশেমী ঘোষণা করেন, লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হলে হেফাজত কোন ধরনের কর্মসূচি দেবে না। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করে লতিফ সিদ্দিকী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে গেলে হরতাল নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় সংগঠনটি।


বারিধারায় জরুরি বৈঠকে বসেন নেতারা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৈঠক গড়ায়। সিদ্ধান্ত হয় হরতাল প্রত্যাহারের।


জানা যায়, বৈঠকে দুটি গ্রুপে ভাগ হয় নেতারা। এক পক্ষ দাবি তোলে হরতাল প্রত্যাহার না করে নতুন করে ফাঁসির দাবি জুড়ে দেওয়া হোক। আরেক পক্ষ প্রতিবাদ জানায়, লতিফ সিদ্দিকী গ্রেফতার হলে জনগণকে বলা হয়েছে হেফাজত হরতালের মত কোন কর্মসূচি পালন করবে না।


শেষ পর্যন্ত বৈঠকের পর হেফাজতের প্রচার সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ আরমান হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন। তবে তারা কিছু কর্মসূচি পালন করতে পারে। এর মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান ইত্যাদি।


উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মূলত কয়েকটি ছোট ছোট ইসলামী সংগঠন নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। এর মধ্যে কওমী মাদ্রাসা বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, আহলে সুন্নাত রয়েছে।

(ওএস/এইচআর/নভেম্বর ২৬, ২০১৪)