মেহেরপুর প্রতিনিধি :মেহেরপুরের বিভিন্ন মাঠ থেকে টিয়া পাখি ধরে বিক্রি করছে শিকারীরা। বন্যপ্রাণী সংরক্ষনে আইন থাকলেও প্রয়োগ না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে পাখি শিকারীরা। এখনই ব্যবস্থা না নিলে অন্যান্য প্রজাতীর পাখির মতো টিয়া পাখিও হারিয়ে যাওয়ার আশংকা পরিবেশবিদদের।

বিশেষ ধরনের বাশেঁর তৈরী নল একটার পর একটা লাগিয়ে বড় বড় গাছের ডালে বসে থাকা টিয়া পাখি শিকার করা হয়। দেশীয় প্রজাতীর টিয়া পাখির সংখ্যা কমে গেছে অনেক আগেই এখন যে গুলো ধরা হয় তা আসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। দেশীয় জাতের টিয়া পাখির দেখা মেলায় যেন দুরহ ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে এখন। আগে জেলার বিভিন্ন এলাকার নারিকেল গাছে বাসাঁ বাধতে দেখা গেলও এখন আর আগের মত দেখা মেলে না টিয়া পাখির। খাদ্য সংকট আর শিকারীদের থাবায় বিলুপ্তির পথে প্রায় টিয়া পাখি। শিকারীরা টিয়া পাখি বিশেষে দাম নেয় ২শ টাকা থেকে শুরু করে ৭শ টাকা পর্যšত। তবে এইসব পাখি ধরা নিষেধ জানার পর তারা তা শিকার করে বিক্রি করে।

টিয়াপাখি শিকারী মিন্টু দাস জানান, আমরা গরীব মানুষ কি করে খাব মাঠে মাঠে টিয়া পাখি ধরে বিক্রি করে যা হয় তা দিয়ে জীবন ধারন করি। তাছাড়া জাতি ভেদে আমাদের কেউ কাজে নেয় না।
পাখি রক্ষা কমিটির সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, শুধু টিয়া পাখি নই এই ধরনের সব পাখিই আজ বিলুপ্তির পথে। এখনই যদি প্রশাসন ও বণ বিভাগ কর্তৃপক্ষে উচিত শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ পাখির অভয়াশ্রম সৃষ্টি করা, তা না হলে টিয়া পাখির সাথে সাথে দেশীয় অনেই পাখিই হারিয়ে যাবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন জানান, বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সাথে সাথে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে পাখি রক্ষা করা হবে।


(এনবি/এসসি/নভেম্বর২৭,২০১৪)