ঝালকাঠি প্রতিনিধি : সন্ধ্যা নদীর তীব্র ভাঙনে স্থানীয়  আমরাজুড়ী ফেরিঘাটটি বর্তমানে হুমকির মুখে। অব্যহত ভাঙনে ফেরি ঘাটের পল্টুনটিও এখন যে কোন মূহুর্তে বিলীনের আশংকা দেখা দিয়েছে। ফেরি ঘাটের পার্শ্ববর্তী প্রায় ১০টি দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন সংলগ্ন ফেরীঘাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা ভাঙন আতংকে রয়েছে। ভাঙন কবলিত দোকানগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিলেও হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ,  ৩০টির মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ১টি ক্লাব।

স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ি গাজী আনোয়ার হোসেনের বলেন, মাগুরা গ্রাম থেকে এসে ফেরি ঘাট এলাকায় বাড়ি করলাম, স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়া মসজিদ করলাম, সবই মনে হয় সর্বগ্রাসী সন্ধ্যার নদীর পেটে চরে যাচ্ছে। নদীর ভাঙনে নিজেই এখন গৃহহারা হওয়ার পথে এ চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে হয়তো ফেরিঘাট এলাকার মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানমসহ কিছুই থাকবে না।

স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী কালাম গাজী মুদি ব্যবসায়ী ও আবদুল মওলাদার কাঁচামাল ব্যবসায়ীসহ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী জানান, চলতি বছর ভাঙনের তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙনের ফলে স্থানীয় ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের এখন পথে বসার অবস্থা। বারবার দোকান সরানো এবং সবসময় আতংকে থাকতে হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের আমরাজুড়ী ফেরির একজন কর্মচারী জানান, এ বছর ফেরিঘাটটি ২৩ বার সরানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না করে তাহলে অনেক ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে।

আমড়াজুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ লাল গুহ বলেন,স্বাধীনতার পর থেকে ভাঙন রোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যুগযুগ ধরে সন্ধ্যা নদী ভাঙছে। প্রতিদিন এ জনপদের মাটি,স্থাপনা ও বৃক্ষরাজি সন্ধ্যার করাল গ্রাসে চলে যাচ্ছে।

(এএস/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০১৪)