রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি :গত ১৪ বছর ধরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ৯৫ ভাগ সমবায়ী কৃষক তাদের কেন্দ্রীয় সমিতি হতে কৃষি ঋণ পাচ্ছেনা।

কেন্দ্রীয় সমিতি হতে ঋণের সুদের হার বার্ষিক শতকরা ১১ টাকা। ঋণ না পাওয়ায় অধিকাংশ সমবায়ী কৃষকদেরকে মহাজনসহ বিভিন্নস্থান হতে বার্ষিক শতকরা ৩০ হতে ৫০ ভাগ পর্যন্ত চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। এ জন্য চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে দিশেহারা অনেক কৃষকরা।

রায়পুর কার্যালয়ের অফিস হতে জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নায়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আয়তাধিন রায়পুর কেন্দ্রীয় সমতি লিঃ এর নিবন্ধনকৃত কৃষ সমবায়ী সমিতির সংখ্যা ১০৮টি। কৃষকদের নিয়ে ঘটিত উক্ত সমিতিগুলোর মোট সদস্য সংখ্যা ৬ হাজার।

৯৮ সনে কৃষকদের ঋণের ৩৮ লক্ষ টাকারমত মাঠ পর্যায় ঋণ খেলাপি অবস্থায় পড়ে আছে। ঋণ মওকুফের আশায় অনেক সমবায়ী কৃষক পূর্বের নেওয়া ওই ঋণের টাকা বর্তমানেও পরিশোধ করতে গড়ি মসি করছে। যার জন্য কেন্দ্রীয় সমিতির তহবিলে অর্থ সংকট দেখা দেয়। অর্থ সংকটের কারনে ৯৫ ভাগ কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ দেওয়া যাচ্ছে না।

কয়েকজ কৃষক জানান, মহাজনসহ বিভিন্নস্থান হতে বার্ষিক শতকরা ৩০ হতে ৫০ ভাগ পর্যন্ত সুদে ঋণ নেওয়ায় আগাম ফসল বিক্রি করে ওই টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে তাদের ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে। একারণে অনেক তাদের মূলধন হারিয়ে পথে বসেছেন। দেনার ভয়ে হতাশ হয়ে অনেকেই এলাকার বাহিরে গিয়ে অন্যের জমিতে কাজ করে দিন কাটাচ্ছেন।

বিআরডিবির রায়পুর উপজেলা পল্লী উন্নায়ন কর্মকর্তা আবুল ফজল মোহাম্মদ মিরন বলেন, ঋণ মওকুফের আশায় অনেক সমবায়ী পূর্বের নেওয়া তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় এখনও ৩৮ লক্ষ টাকারমত মাঠ পর্যায় ঋণ খেলাপি অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমানে সমিতির তহবিলে ৩৩ লক্ষ টাকা আছে। যাহা আবর্তক ঋণ হিসেবে ৫ ভাগ সমবায়ী কৃষকদের মাঝে ঋণ প্রধান করা হচ্ছে।

রায়পুর কেন্দ্রীয় সমিতির চেয়ারম্যান মাষ্টার ছৈয়দুজ্জামান জানান, ঋণ না পাওয়ায় অধিকাংশ সমিতির কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। বাহির হতে চড়া সুদে নেওয়ায় ঋণ পরিশোধ ও আগাম ফসল বিক্রি করে কৃষকদেরকে ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের লোকসান দিতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সমিতির হতবিলে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিলে কৃষকগণ সল্প সুদে ঋণ নিয়ে উপকৃত হবে।



(এম আর এস/এসসি/নভেম্বর২৮,২০১৪)