স্টাফ রিপোর্টার : অভিভাবকহীন ভাবে চলছে গ্রামীণ ব্যাংক। যদিও সরকার বলছে, চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হকই এর অভিভাবক। অন্যদিকে চেয়ারম্যান বলছেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে কোনো খোঁজখবরও রাখেন না। ফলে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম ভারপ্রাপ্ত এমডিকে দিয়ে চালানো হচ্ছে।

এদিকে নাটকের কারণে অভিভাবকহীন গ্রামীণ ব্যাংকে প্রশাসন এবং কর্মচারীদের মধ্যে ফাটল ধরছে। কর্মচারী সমিতিসহ মাঠ পর্যায়ের কিছু লোক প্রশাসনের কথা মানছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বিধিমালা জারির ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ব্যাংকটিতে এক ধরনের হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মানতে নারাজ। এবং এ ব্যাংক সম্পর্কে কোনো খোঁজখবরও রাখেন না।

তবে সরকার এখনও পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা সম্পর্কে জানান, সরকার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি, সেটা সরকারের ব্যাপার। আর গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদের জন্য লোক খোঁজা হচ্ছে। সহসাই সরকার সেটা পেয়ে যাবে।

গ্রামীণ ব্যাংক বর্তমানে কে নিয়ন্ত্রণ করছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ওদের (নির্বাচিত পরিচালক) শেয়ার বেশি। তাই ওরাই এখন নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচন হলে বোর্ডে কেউ থাকবে না। তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।

নির্বাচন হলে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে যাবে। এটা নিয়ে কোনো ঝামেলা হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওরা (নির্বাচিত পরিচালক) ঝামেলা করলে তো ঝামেলা হবেই। তবে আমার মনে হয় না কোনো ঝামেলা হবে। আর ঝামেলা হলেও সেটা হতে দেব না।

এদিকে, অভিযোগ উঠেছে না-সরকার, না-ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক এখন চলছে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের দ্বারা। দুই বছর ধরে উচ্চ পর্যায়ে ১০-১২টি পদ খালি থাকলেও তা পূরণ করা হচ্ছে না। ফিল্ডে পদবি ও চেয়ার বদল হচ্ছে না। যে কারণে উচ্চপদস্থ এসব কর্মকর্তার নির্দেশ অনেক ক্ষেত্রেই কর্মচারী সমিতিসহ মাঠ পর্যায়ের লোক মানছেন না।

(ওএস/এটি/মে ০২, ২০১৪)