স্টাফ রিপোর্টার : আসছে রোজার মাস। আর এই রোজার মাসকে সামনে রেখে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে এ তালিকায় রয়েছে মসলা জাতীয় পণ্য। গত সপ্তাহের তুলনায় পেয়াজের কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা দর কমতিতে এলেও আবার বাড়তে শুরু করেছে আদার দাম। সাথে বেড়েছে সব ধরনের রসুনের দাম।

জানা গেছে গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে। চলতি সপ্তাহে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় এই দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

আর আমদানি সংকট দেখিয়ে আবারও আদার দাম বাড়ানো হয়েছে। চায়না আদা ১০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা, ভারতের কেরালা আদা ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ২০০- ২২০ টাকা এবং অন্যান্য আদা ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাথে সাথে বেড়েছে রসুনের দাম। অন্যদিকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে লেবুর মূল্য বাড়লেও এখন লেবুর বাজারে স্থিতি এসেছে।

গত সপ্তাহের মতোই ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা কমতি আছে বলে বিক্রেতারা বলছেন। পর পর দুই দিনের বৃষ্টিতে শরবতের চাহিদা কমে যাওয়ায় লেবুর দাম কিছুটা কমেছে বলে বিক্রেতাদের ধারণা।

এদিকে গত সপ্তাহে কিছুটা বাড়লেও এ সপ্তাহে মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার। বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, দেশী শসা ৪০ টাকা, আমদানি শসা ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, আলু ১৮ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, উস্তা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা ও পটল ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিহালি কাঁচকলা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বাজারে লালশাক, ডাটা, পুঁইশাকের আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং লেটুস পাতা প্রতিটি ১৫ টাকা, পুদিনাপাতা ১০০ গ্রাম ২০ টাকা, ধনেপাতা প্রতি ২৫০ গ্রাম ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। সামনে আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণেই চাহিদা কিছুটা কমেছে। সরবরাহও বেড়েছে।

এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১০০ টাকা। সুপার ৮৫ টাকা। পামওয়েল ৯০ টাকা। শুকনা মরিচ পাইকারি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, খুচরা ১৮০ টাকা, হলুদ ১২০ টাকা, মশুর ডাল দেশি ১০৫-১১০ থেকে ১১৫ টাকা। মোটা দানা মশুর ডাল ৮০ টাকা, খেসারি ডাল ৪৪ টাকা, মুগডাল ১৩০ টাকা, ছোলা ৫৫ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৪২ টাকা, মাষকলাই ১২০ টাকা, বুট ৬০ টাকা, প্রতি হালি ডিম ২৪ টাকা, খোলা চিনি ৪৪ টাকা, প্যাকেট চিনি ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে কিছুটা দাম কমলেও এ সপ্তাহে স্থিতিশীল রয়েছে চাউলের বাজার। গতকাল মিনিকেট চাল ৪৯-৫০ টাকা, বিআর (২৮) ৪০-৪১ টাকা, পারিজা ৩৮-৩৯ টাকা, নাজিরশাইল ৫৩-৫৫ টাকা। স্বর্ণা ৩৪-৩৫ টাকা, গুটি ৩৫-৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কিছুটা কমবেশি হলেও স্থিতিশীল হিসাবেই আছে মাছের বাজার। প্রতি কেজি কাতল মাছ ৪০০ টাকা, রুই মাছ ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, চিংড়ি (বড়) ১ হাজার ২০০ টাকা, শিং মাছ ৮৫০ টাকা, নলা মাছ ২০০ টাকা, কার্ফু মাছ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে গোশতের দাম আগের মতোই রয়েছে। গরুর গোশত কেজি প্রতি ২৮০ টাকা, ছাগলের গোশত ৪৫০টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

(ওএস/এটি/মে ০৩, ২০১৪)