টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাদে পাড়শী গ্রামের গৃহবধু ফরিদা খুনের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও আসামীরা গ্রেফতার হয়নি । স্বামীর যৌতুকের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় স্বামীর নির্যাতনে জীবন দিতে হল তাকে। প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে একটি মহল।

প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, প্রায় ৫ বছর পূর্বে কালিহাতী উপজেলার হাসড়া গ্রামের ফরমান আলীর মেয়ে ফরিদা আক্তার (২২)’র সাথে ঘাটাইল উপজেলার আহাম্মদ আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৫)’র বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে সুমন ও তার পরিবার প্রতিনিয়ত তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।

চাহিদাকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় ক্রমেই তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। মৃত ফরিদার মা রাশেদা বেগম জানান, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে তার মেয়ে ফরিদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় গামছা পেছিয়ে ঘরের ধর্ণার সাথে ঝুলিয়ে রেখে প্রচার করে আত্মহত্যা করেছে।

ঝুলন্ত লাশের নমুনা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা অনুমান করেন এটা মোটেও আত্মহত্যা নয়। এ ব্যাপারে পুলিশের নিকট বার বার অভিযোগ করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। অপরদিকে আসামীরা স্থানীয় মেম্বার আনোয়ার হোসেন, হাসড়া গ্রামের মজিবরের পুত্র জুয়েল ও বুজরত আলী পুত্র তাইবুরকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ঘটনাটির ধামাচাপা দেয়। পরে নিহত ফরিদার ভাই সুমন (১৮) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা (নং- ১৩/২০১৪ সি.আর) দায়ের করে। এ মামলাটি পুলিশ ও প্রভাবশালী মহল যোগসাজশে ধামাচাপা দেয়ার জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বেশি বারাবারি করলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে।

এমতাবস্থায় নিহত ফরিদার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল কবির জানান “মামলাটি রেকর্ড পূর্বক তদন্ত চলছে”।


(আরকেপি/এসসি/ডিসেম্বর০১,২০১৪)