রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশের গাছ নিধন করে সম্পত্তি দখল করে অবৈধ ভাবে দোকানপাট নির্মাণের মহোৎসব চলছে।

ভূমিদস্যুরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রামগঞ্জ থানার পিছনে পাটওয়ারী ভবন ও আল ফোরকান ইসলামী মাদ্রাসা একাডেমীর সামনে পাউবো সড়কের পশ্চিম পাশের খালের পাড় দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।কারো যেন কালদৃষ্টি না পড়ে সেজন্য সামনে একটি বিশাল পর্দা ঝুলিয়ে ভেতরে দিন-রাত বীরদর্পে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ যেন দেখার ও বাঁধা দেয়ার কেউ নেই। এছাড়াও রামগঞ্জ দক্ষিণ বাজার ওয়াপদা কলোনী সংলগ্ন এবং পাউবো’র এলাকার আশেপাশের সম্পত্তিসহ সোনাপুর পশ্চিম বাজার, চৌধুরী বাজার, দাসপাড়া, পদ্মা বাজার ও রসুলপুর বাজার এলাকায় পাউবো বাঁধের দুই পাশের সম্পত্তি দখলে নিয়ে অর্থ বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে একাধিক মহল।

জানা গেছে, রামগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ২২ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। বাঁধ তৈরির পর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তা দখল করে পাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘর নির্মাণ করেছে।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবহিনী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সম্পূর্ণ বাঁধ দখলমুক্ত করে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভূমিদস্যুরা আবার পাউবো’র অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বাঁধের দুই পাশের সম্পত্তি পুনরায় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের মহোৎসব চালায়। ভূমিদস্যুদের কেউ কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আবার কেউ কেউ পজিশন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পাউবো’র সম্পত্তির ওপর ভবনগুলো এক শ্রেণীর চাঁদাবাজদের আয়ের উৎস ও মাদক ব্যাবসায়ীদের নিরাপদ স্পটে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাউবো’র সম্পত্তি দখলের ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা একাধিকবার বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করলেও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয়ের কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন এযাবৎ আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শত শত কোটি টাকার এ সম্পত্তি গণহারে দখল হয়ে যাচেছ

(এমএএইচপি/এসসি/ডিসেম্বর০৩,২০১৪)