স্টাফ রিপোর্টার :বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বৈঠককারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা পেয়েছেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সিসি টিভি থেকে ধারণকৃত ফুটেজ থেকে তাদের শনাক্ত করা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে যোগদানকারী সদস্যদের অধিকাংশই সচিবালয়ে কর্মরত দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী বলে সূত্র জানায়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এর আগে ২০০৮ সালে মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে উত্তরায় অনুষ্ঠিত এরকম অপর আরেকটি গোপন বৈঠকের পর থেকেই গোয়েন্দারা কঠোর নজরদারি শুরু করে।

সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তা গত রাতে বলেন, বৈঠকের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর সচিবালয়ে সর্বোচ্চ নজরদারি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী একসঙ্গে চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দর্শনার্থীদের পাস দেয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের সচিবালয় পাস বাতিল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ধানমণ্ডিতে বসবাসকারী সাবেক এ আমলার নেতৃত্বে সরকারবিরোধী ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ এর আগে সচিবালয় এলাকায় নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তবে সরকারের কঠোর নজরদারিতে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ধোপে টেকেনি। আবার তাদের মধ্যেও রয়েছে নেতৃত্ব নিয়ে ঠেলাঠেলি। এ কারণেই বৈঠকে অনুপস্থিত অপর আরেকটি গ্রুপ সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়। সিসি টিভি থেকে শনাক্তকারী বৈঠকে উপস্থিত সরকারি এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে একদল সরকারি কর্মকর্তার বৈঠকের বিষয়টি তদন্ত করবে সরকার। এর সত্যতা পেলে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সরকার এটা হালকাভাবে নেবে না। এটা সার্ভিসের শৃংখলার ব্যাপার। এ ব্যাপারে যা করার তাই করা হবে।

বৈঠকে ছিলেন যারা : সিসি টিভিতে ধারণ করা ফুটেজে যাদের ছবি পাওয়া গেছে তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সিনিয়র সহকারী সচিব (ওএসডি) এহসানুল হক, বদরুল কবির, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইব্রাহিম মিয়াজী, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের নুরুল ইসলাম, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের এও নুরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পিও তৌফিকুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাণিজ্যিক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল মান্নান, কেয়ারটেকিংয়ের ফরাস হুমায়ুন কবীর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (বর্তমানে পোষণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী শহিদুল হক, আইএমইডির ৪র্থ শ্রেণীর মুজিবুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এও মামুন, এজি অফিসের কর্মচারী আবদুল মান্নান ও তথ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী বিল্লাল হোসে

(ওএস/এসসি/ডিসেম্বর০৬,২০১৪)