স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : জার্গেনসন ছুটি কাটাতে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। সেখান থেকেই ই-মেইলে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান তিনি। ২৮ এপ্রিল পাওয়া সেই পদত্যাগপত্র অবশ্য এখনো গ্রহণ করেনি বিসিবি। বোর্ড প্রেসিডেন্ট দেশে না থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

অবশ্য বিসিবির পক্ষ থেকে ওই দিনই বলা হয়েছিল যে, আবেগ থেকেই হয়তো অমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন জার্গেনসেন। ঢাকায় ফিরে সেই ‘তত্ত্ব’ উড়িয়ে দিয়েছেন কোচ। তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা তাতে কমেছে বৈ কি! তারপরও আজ বিসিবি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসানের সঙ্গে আলোচনার পর জানা যেত তার ভবিষ্যৎ। কিন্তু নাজমুল হাসান অসুস্থ হওয়ায় আজকের নির্ধারিত বৈঠকটি হচ্ছে না।

তাই জার্গেনসেনের পদত্যাগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে আরো দু-এক দিন। যে অসুস্থতা নিয়ে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন নাজমুল, সেখান থেকে সেরে ওঠেননি পুরোপুরি। নতুন অপেক্ষা এখন বিসিবি প্রেসিডেন্টের সুস্থতার।

বাংলাদেশে ফিরে জার্গেসন অবশ্য নিশ্চিত করেছেন আবেগতাড়িত হয়ে নেননি পদত্যাগের সিদ্ধান্তটা, ‘যারা আমাকে চেনে, তারা জানে যে জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই আমি হুট করে সিদ্ধান্ত নিই না। এই পদত্যাগের পেছনেও অনেক দিন ধরে অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছে। হুট করে এই সিদ্ধান্ত আমি নিইনি।’

পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেপথ্য সব কারণ বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানালেন জার্গেসন, ‘বিসিবির সঙ্গে কী কথা হবে, সেটি আমি এখনই বলতে চাই না। কয়েক দিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে আমার বসার কথা। যে যে কারণে আমি পদত্যাগ করেছি, সেগুলো নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করব। তারপর দেখা যাক, কী হয়।’ বাংলাদেশের কোচের পদ ছেড়ে দিলেও চাকরি পেতে অসুবিধা হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জার্গেনসেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে অনেকগুলো দরজা আমার জন্য খোলা আছে। তবে এরপর কোথায় কাজ করব, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। এখন আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করা।’

(ওএস/পি/মে ০৩,২০১৪)