মাগুরা প্রতিনিধি : আজ ৭ই ডিসেম্বর মাগুরা জেলা মুক্তদিবসের প্রাক্কালে শালিখা উপজেলারহাজরাহাটি গ্রামে কু-খ্যাত রাজাকার বাহিনীর হাতে ঘটে নৃশংসতম গণহত্যা। এইদিন তাদের হাতে  শহীদ হন ৮ জন নীরিহ মানুষ।

ডিসেম্বর মাস থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল একের পর এক হানাদার মুক্ত হবার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্দের বিজয় অর্জিত হওয়ার সংবাদে ৯ জন শরনার্থী ভারত থেকে নিজ বাড়ি ফরিদপুরে ফিরে যাবার পথে শালিখার জুনারী গ্রামে রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে। এদের মধ্যে একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রাজাকাররা বাকী ৮ জনকে ধরে নিয়ে আসে হাজরাহাটি গ্রামের চিত্রা নদীর পাড়ে। এখানে এনে তারা ধৃত ব্যক্তিদের নির্মমভাবে নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।

পরদিন স্থানীয়রা তাদের লাশ একত্র করে একই স্থানে সমাহিত করে। এখানে যারা চির নিদ্রায় শায়িত তারা হলেন ফরিদ পুরের বোয়ালমারী থানার জয়পাশা গ্রামের যদুনাথ গুহ, পঞ্চানন পাল, হরিপদ দাস, নিত্যানন্দ ভদ্র ও পরমেশ্বর্দী গ্রামের মনোরজ্ঞন দত্ত, নগরকান্দা থানার সাধুহাটি গ্রামের নাড়– গোপাল রায় এবং ফুল বাড়িয়া গ্রামের সুশেনকর ও অজ্ঞাত একব্যাক্তি। শহীদ যদুনাথ গুহের পুত্র রনজিৎ গুহ নিজ উদ্যোগে গণ সমাধিটি পাকা করে দেন।

তিনি প্রতি বছর ৭ ডিসেম্বর এখানে এসে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় ধর্মীয় রীতি অনুসারে অনুষ্ঠানাদী পালন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এদের নিকট আত্মীয়রা শালিখা থানায় এসে ২০ জন রাজাকারের নামে একটি গন হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে বলে শোনা গেলেও থানায় খোঁজ নিয়ে মামলার কাগজ পত্রের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পার হলেও আজও কোন সুবিচার পায়নি শহীদ পরিবার গুলো।


(ডিসি/এসসি/ডিসেম্বর০৭'২০১৪)