রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত রামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অযত্নঅবহেলায় পড়ে রয়েছে। দেখভালের অভাবে দৃষ্টি নন্দন এ ভাস্কর্যটি শ্রীহীণ হয়ে পড়েছে। শ্বেত বর্ণের এ ভাস্কর্যটির গায়ে এখন শেওলা ও ধুলোবালি জমে কালো রঙ ধারণ করেছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যটির বেষ্টনীর ভেতর ও বাহিরে আগাছা জন্মেছে। এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব গাঁথা বীরত্বের ইতিহাসের মর্যাদাকে অবমাননা করা হচ্ছে।

রামগঞ্জ পৌরশহরের পশ্চিম আঙ্গারপাড়া জোড় কবর নামক স্থানের উত্তরে, শিশুপার্ক ও রেস্টহাউজ সংলগ্ন রামগঞ্জের প্রবেশদার বাইপাস সড়কের মোড়ে জেলা পরিষদের জায়গায় এ ভাস্কর্যটির অবস্থান। ২০০৫ সালে তৎকালীন লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের এমপি, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় ভাস্কর্যটির সামনে নামকরণ ও উদ্বোধনী তারিখ সম্বলিত ভিত্তি প্রস্তার স্থাপিত হয়। পরে জোট সরকারের পটপরিবর্তনের পর ভাস্কর্যটির ভিত্তি প্রস্তর থেকে একটি কুচক্রী মহল রাতের অন্ধকারে নামফলক খুলে নিয়ে যায়।

চারকোণা বিশিষ্ট ভাস্কর্যটির নিচের অংশের উত্তর-পূর্ব অংশের দেয়ালে জিয়াউর রহমান, পশ্চিম-দক্ষিণ অংশের দেয়ালে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিকৃতি রয়েছে। ওপরের অংশে পাথরে খোদাইকৃত ৩ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য দন্ডায়মান রয়েছে। রামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী বাইপাস মোড়ের এ ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ভাস্কর্যটির যথাযথ সংরণ ও মর্যাদা রক্ষার যেন কেউ নেই।

(এমএএইচ/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪)