দৈনিক বর্তমানের সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : দৈনিক বর্তমান পত্রিকার অচলাবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাংবাদিক নেতারা। সোমবার রাজধানীর দিলখুশা এলাকায় দৈনিক বর্তমানের প্রধান কার্যালয় সানমুন স্টার টাওয়ারে আন্দোলনরত সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচিতে নেতারা বলেন, সাতদিন ধরে বিনা নোটিশে বর্তমানের প্রকাশনা স্থগিত রেখে বকেয়া পাওনাদি না দিয়ে সাংবাদিকদের পথে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। সঙ্কট নিরসনে সাংবাদিকরা সাতদিন ধরে আন্দোলন করছে, তারপরও মালিকের টনক নড়ছে না। পত্রিকা প্রকাশনা অব্যাহত রাখাসহ ন্যায্য পাওনা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’ সঙ্কট নিরসনে তথ্যমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপও কামনা করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
বর্তমানের অচলাবস্থা নিরসনের দাবিতে সাংবাদিকদের অবরোধ কর্মসূচি পত্রিকার সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক স্বপন দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব সাইফুল ইসলাম তালুকদার, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফেরদাউস মোবারক, ডিইউজের সহ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, বিএফইউজের সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ পত্রিকার মালিক মিজানের প্রতি হুসিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সাংবাদিকদের পথে নামিয়ে টালবাহনা করে পার পাওয়া যাবে না। সরকারের কেউ তোমাকে বাঁচাতে পারবে না। নিজের কল্যাণ চাইলে পত্রিকা খুলে দাও, বকেয়া পাওনা দিয়ে দিতে হবে।’ মামলার আসামি পুলিশি রিমান্ডে থাকাবস্থায় কিভাবে হাসপাতালে জামাই আদরে রয়েছে তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী পত্রিকা অফিস সানমুন টাওয়ারের মুল ফটকে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তালা ঝুলিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। একইসঙ্গে বন্ধ রাখা হয় লিফট। সঙ্কট নিরসন না করায় আগামীকালও একই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪)