গাজীপুর  প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে কারারক্ষীদের একটি রাইফেল খোয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া ওই রাইফেলটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জেল সুপার সন্ধ্যায় জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসক দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

হাইসিকিউরিটি কারাগার সূত্র জানায়, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নূরুল ইসলাম রবিবার দুপুরে হঠাৎ কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শনে যান। প্রথমে তিনি কারাগার পার্ট-২ পরিদর্শন করেন। হাইসিকিউরিটি কারাগারে আসবেন মনে করে তাকে সশস্ত্র অভিবাদন জানানোর জন্যে ২১ জন কারারক্ষী ২১টি রাইফেল নিয়ে সালামী মঞ্চে সমাবেত হয়। কিন্তু তিনি হাই সিকিউরিটিতে না এসে কারাগার পার্ট-২ পরিদর্শন শেষ করে বেলা সোয়া ২ টার দিকে গাজীপুর ফিরে যান। জেলা প্রশাসক ফিরে যাওয়ার খবরে সমবেত কারারক্ষীরা অস্ত্রাগারের প্রধান কারারক্ষী সিরাজুল ইসলামের কাছে অস্ত্র জমাদেন। গনণা করে তিনি একটি রাইফেল কম পান। বেলা পৌনে ৩ টার দিকে সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি কারাগারের লাইচ কারারক্ষী মনিরুল ইসলামকে জানায়। মনিরুল ইসলাম একাধিকবার গনণার পর অস্ত্র গড়মিল পান। পরে ঘটনাটি তিনি জেলার জান্নাত-উল-ফরহাদকে জানান। সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে জেলার ঘটনাটি জেল সুপারকে জানান। কর্মকর্তাগণ যাচাই বছাইয়ের পর নিশ্চিত হন একটি রাইফেল (নং ১১৩৩৪০৮৯) খোয়া গেছে।

এদিকে অস্ত্র খোয়ার খবর জানাজানি হলে কারাগারে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নেওয়া হয় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। কারাফটকে নিরাপত্তা তল্লাশী বৃদ্ধি ও কড়াকড়ি করা হয়। তাছাড়া ঘটনার পর থেকেই ওই ২১ কারারক্ষীকে রিজার্ভরুমে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ এবং কঠোর নজরদারীতে রাখা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেল সুপার এ ঘটনা জানিয়ে জয়দেবপুর থানায় সাধারন ডায়রী করেন এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ‘অস্ত্র খোয়া যায়নি। আমরা একটি অস্ত্র মিলাতে পারছিনা। কাশিমপুর কারাগারের অন্য ৩টি অস্ত্রাগারের সঙ্গে সমন্বয় করে অস্ত্র মিলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মিলানোর কাজ শেষ না করা পর্যন্ত বলা যাবে না অস্ত্র খোয়া গেছে’।

এদিকে কারাগার থেকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক সোমবার সন্ধ্যায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান গাজীপুরের অতিরিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল। অপর সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন।

জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতেই তদন্ত কমিটি কারাগারে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছ।

(এসএএস/এটিআর/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪)