স্টাফ রিপোর্টার :খাগড়াছড়ি জেলা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে আজ খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে।

পার্বত্য অঞ্চলে অব্যাহত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং শিক্ষক হত্যার বিচার দাবীতে জেলা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধ কমিটি এই হরতালের ডাক দেয়।

হরতালের কারনে খাগড়াছড়ির সাথে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফেনীসহ সব সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে রিক্সাও চলাচল করছেনা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেনি।

এদিকে সকালে হরতালের পক্ষে শহরে মিছিল করেছে হরতাল সমর্থকরা। পৌরসভা মেয়র রফিকুল আলমের নেতৃত্বে শহর, শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়। সন্ত্রাস চাঁদাবাজ প্রতিরোধ কমিটির বিক্ষোভে পার্বত্য চট্টগ্রামে গুম, খুন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)কে দায়ী করা হয়। পাহাড়ী এই সংগঠনটি অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

এর আগে শিক্ষক হত্যার দাবীতে গতকাল মানিকছড়ি উপজেলায় হরতাল এবং দম্পতিকে গুলি প্রতিবাদে পানছড়িতে সড়ক অবরোধ পালিত হয়।

উল্লেখ্য যে, গত শনিবার রাতে জেলার মানিকছড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলায় মানিকছড়ি কলেজিয়েট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মানিকছড়ি আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংসামং চৌধুরী নিহত ও জনসংহতি সমিতির মানিকছড়ি উপজেলা সভাপতি মংসাজাই মারমা ওরফে জাপান বাবু গুলিবিদ্ধ হন। একই রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পানছড়িতে স্বামী-স্ত্রী রমজান আলী (৫০) ও স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪০) এবং গুইমারায় আশুতোষ ত্রিপুরা (৩০) নামের এক যুবক আহত হন।

(ওএস/এসসি/ডিসেম্বর০৯,২০১৪)