গাজীপুর প্রতিনিধি : রাজধানীর কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত কমিউটার (ডেমু) ট্রেন চালু হয়েছে। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মঙ্গলবার সকালে টঙ্গী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই ট্রেন উদ্বোধন করেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ট্রেন দেশের ও জাতির সম্পদ। এই ট্রেনকে যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়, বগি-ইঞ্জিনে আগুন দেয়, স্টেশনে হামলা করে, স্টেশন ধ্বংস করে সেই জামায়াত-শিবিরকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আশ্রয়-প্রশ্রয় ও লালন পালন-পালন করে যাচ্ছেন। জামায়াত-শিবির স্বাধীনতার শত্রু। বাংলাদেশ স্বাধীন হোক, এটা জামায়াত-শিবির চায় নাই।’


তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এবং বিদেশ থেকে অর্থ এনে দেশের রেলওয়েকে সাজান। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উস্কানিকে জামায়াত-শিবির এ দেশের রেলওয়েকে ধ্বংস করে যাচ্ছে।’


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মনসুর আলী সিকদার। বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ কাজী মোজাম্মেল হক, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন, রেলওয়ে (পূর্ব) মহাব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হক, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, টঙ্গী আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. রজব আলী।


যাত্রীদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা অনেকেই টঙ্গী থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু টঙ্গী থেকে ঢাকায় সরাসরি কোন ট্রেন নাই। আজ টঙ্গী থেকে ঢাকায় ডাইরেক্ট ট্রেন উদ্বোধন করে গেলাম। ট্রেনকে রক্ষায় আপনারা এগিয়ে আসবেন। যাতে দেশকে আমরা সেবা দিতে পারি।’


জানা গেছে, ৬শ’ যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ডেমু ট্রেন প্রতিদিন টঙ্গী-কমলাপুর পর্যন্ত দুইবার যাতায়াত করবে। কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন ভোর ৫ টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে টঙ্গীতে পৌঁছাবে। আবার সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে টঙ্গী থেকে ছেড়ে সকাল ৮টা ৩৫মিনিটে কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছাবে। পথে শুধু বিমান বন্দর স্টেশনে থামবে। এ পথে ট্রেনটির ভাড়া ধরা হয়েছে জনপ্রতি ১৫ টাকা। শুক্রবার টঙ্গী কমিউটার (ডেমু) ট্রেন বন্ধ থাকবে।

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪)