কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার কাপড়িয়া পট্টিতে গুলি করে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় স্থানীয় জনতা এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। ছিনতাইকারীদের গুলিতে আহত হয়েছে একজন। মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদশীরা জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা শহরের চকবাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা তুলে শহরের নজরুল এভিনিউ রোডের বাসায় যাচ্ছিলেন জেসমিন আক্তার ও তার ভাগিনা মাহিহুল কবির তমাল। তারা ১০ লাখ টাকা নিয়ে রিকশায় করে কাপড়িয়াপট্টি দিয়ে আসার সময় মোটরসাইকেল করে আসা ছিনতাইকারী তাহের, এরশাদ ও আলমগীর তাদেরকে ঘিরে ফেলে।

এ সময় টাকা থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তমালকে বাম পায়ে গুলি করে এবং ছিনতাইকারীরা ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত না হয়ে ছিনতাইকারীকে ধরার জন্য এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারী তাহের ও এরশাদ পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জনগন আলমগীর হোসেন নামে এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে ।

সে কুমিল্লা শহরের দারোগা বাড়ি এলাকার খালেক মিয়ার ছেলে বলে জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় জনগনের সাহসী ভূমিকার কারনে ছিনতাইকারী দল টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। পরে ছিনতাইকারী আলমগীর হোসেনকে গণপিটুনি দিয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এ ঘটনার বিষয়ে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ খোরশেদ আলম জানান, কাপড়িয়া পট্টি এলাকায় পৌনে ৪টার দিকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আলমগীর হোসেন নামে এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে। ২ জন পালিয়ে গেছে। এ সময় দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আটককৃতের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।

তিনি বলেন, মাদক ও ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে কোন আপোষ নেই। মাদক ও ছিনতাই বন্ধের জন্য বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সমাবেশ করছি। সাধারণ মানুষকে মাদক ও ছিনতাই বন্ধের জন্য এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি। তারই অংশ হিসেবে আমাদের ডাকে সারা দিয়ে গোয়ালপট্টি এলাকাবাসীও ছিনতাই প্রতিরোধে ভূমিকা রাখেন। তবে ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে রিভলবার উদ্ধার করার জন্য রাতেই অভিযান চালানো হবে।
গুলিবিদ্ধ মাহিহুল কবির তমালকে কুমিল্লার ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

(একেএইচ/এটিঅার/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪)