বগুড়া প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১০ বছর পর ব্যাপক উৎসাহের মধ্যে দিয়ে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে সাজসাজ রব পড়েছে বগুড়ায়। জেলা শহরে জাতীয় আর স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের ছবি আর শ্লোগানে ব্যানার এবং ফেস্টুনে ভরে উঠেছে। জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে কাউন্সিলর রয়েছে ৪৫০ জন। সম্মেলনের তোড়জোড় প্রায় এক মাস আগে থেকে শুরু হলেও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে কোন প্রার্থী নেই। শুধুমাত্র বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন এর নাম শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির মজিবুর রহমান মজুন এবং যুগ্ম  সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক টি জামান নিকেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে একাধিক নেতার নাম শোনা গেলেও তাদেরও তেমন তোড়জোড় নেই। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, সম্মেলন হলেও নেতৃত্বে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া শহরের জিলা স্কুল মাঠে। এদিনে ২৫ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার অধিকাংশ ইউনিটে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা যায়, ২০০৪ সালের ৮ আগষ্ট বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের শেষবারের মত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন পুনরায় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান মজিবর রহমান মজনু। দলীয় সুত্রে জানা যায় আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ১৯৯৩ সাল থেকে। দীর্ঘদিন থেকে দায়িত্ব পালন করে আসা এবং তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সম্মেলনে কাউন্সিলর থাকবেন ৪৫০ জন। সম্মেলনে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। জেলার ৩০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু জানান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। এবার সাধারণ সম্পদক পদে নির্বচন করবো। বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টি জামান নিকেতা জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের কাউন্সিলর তালিকা পাওয়া গেছে। সকল কাউন্সিলর এর সাথে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের কথা বলেছি এবং দলীয়ভাবে নিজের গুরত্ব তুলে ধরেছি।

(এএসবি/পি/ডিসেম্বর ১০, ২০১৪)