নিউজ ডেস্ক : 'চ্যানেল সিক্সটিন' বাংলাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচারের ইতিহাসে প্রতারণার নজিরবিহীন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সরকারি নির্দেশে সম্প্রতি বন্ধ হওয়া চ্যানেলটি প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কহীন ইসরায়েলের একটি স্যাটেলাইট ভাড়া করে ইসরায়েলে লাইভ ফিড পাঠিয়ে চ্যানেলটির অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়েছে গত তিন বছর। অথচ সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্যাটেলাইট ভাড়া করার কথা ছিলো চ্যানেলটির। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনেও চ্যানেল সিক্সটিনের কার্যক্রমকে প্রতারণামূলক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চ্যানেলটির চেয়ারম্যান করার নামে যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলে চট্টগ্রামের মোহাম্মদ শোয়েব নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে জি মুহিত হাতিয়ে নিয়েছেন আড়াই কোটি টাকা। প্রতারিত করেছেন ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনাদৌলাকেও। প্রতারণার দায়ে মুহিতের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা ছাড়াও দুটি নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি কে জি মুহিত নিজে তথ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আবারও চ্যানেল সিক্সটিন চালু করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

এদিকে চ্যানেল সিক্সটিন বন্ধের নোটিশের পর ‘K’লোগো ব্যবহার করে সম্প্রচার করা হয়। পরে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে ‘ফিল্মি গান’ লোগো ব্যবহার করে চ্যানেলটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।

এ ব্যাপারে তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ বলেন, চ্যানেল সিক্সটিন বন্ধের পর অন্য কোনো লোগো ব্যবহার করে কিংবা অন্য কোনোভাবে সম্প্রচারের সুযোগ নেই।

সিঙ্গাপুরের নামে ইসরায়েলের স্যাটেলাইট : ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় তিনটি শর্তে চ্যানেল সিক্সটিনকে অনুষ্ঠান ডাউনলিঙ্ক করার অনুমতি দেয়। এতে বলা হয়, কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আপলিঙ্ক করতে পারবে না, স্যাটেলাইটের কোনো যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারবে না এবং রেমিট্যান্স প্রেরণের আবেদনও করতে পারবে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ে চ্যানেল সিক্সটিন কর্তৃপক্ষের জমা দেওয়া কাগজপত্রে সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অনুষ্ঠান প্রচারের কথা বলা হয়।

(ওএস/অ/ডিসেম্বর ১০, ২০১৪)