কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ (এমপি) বলেছেন, ৭৫-এ জাতীর পিতাকে হত্যার পরে জিয়াউর রহমান ও পরে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন ভাবে যুদ্ধাপরাধী দলকে প্রতিষ্ঠিত ও পূনবার্সিত করেছেন। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তাদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব ও শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।

পরবর্তিতে বিএনপি এ রাজাকারদেরকে পতাকা দিয়েছিলেন। রাজাকার মতিউর রহমান নিজামী, মুজাহিদদের মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, ৩০ লাখ শহীদদের আত্মাকে অপমানিত করেছেন। আর শেখ হাসিনার সরকার এবার এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হয়েছে, কারো কারো রায় কার্যকর করা হয়েছে। আগামী অধিবেশনেই যুদ্ধাপরাধীর দায়ে এই যুদ্ধাপরাধী দলকে বিচারের আওতায় আনার চিন্তা ভাবনা চলছে। হানিফ বলেন আমার বিশ্বাস, আইনী সংশোধনীর মাধ্যমে এই জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দিলেই এ দেশ রাজাকার মুক্ত হবে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মার অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পাব।
আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে জেলার কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরনে পুষ্প অর্পন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি কুষ্টিয়া মুক্ত দিবসের র‌্যালীতে অংশ নেন তিনি।

এসময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাসিম উদ্দিন ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাসহ দলীয় নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধারা, সরকারি কর্মকর্তারা, স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা ও সুশিল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

(কেকে/এএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৪)