কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ফজর নামাজের পর থেকে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী কুষ্টিয়া জেলা ইস্তেমা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মুসল্লীরা ইস্তেমা স্থলে পৌঁছতে শুরু করেছেন। কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ই-ব্লকে বিশাল তাবু টাঙ্গিয়ে মুসল্লীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মাসখানেক পুর্ব থেকেই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সকল আয়োজনের প্রস্ততি চলে। ইস্তেমা মাঠ প্রস্ততি কাজের দায়িত্বশীল হাজী রফিকুল ইসলাম জানান, নিজেদের ব্যবস্থাপনায় মাঠের প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশাল মাঠের চারিপার্শে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকায় প্রস্ততি কাজ অনেক সহজ হয়েছে। তিনি জানান, ১মাস আগে থেকে দ্বীনি ভাইয়েরা স্বেচ্ছাশ্রমের মধ্য সব কাজ করছেন।

নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ইস্তেমাস্থলে ১২স্থানে বোরিং করে পানির পাম্প বসানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নিজেদের খরচে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়েছে। কয়েকশত পায়খানা এবং প্রস্রাবখানা তৈরী করা হয়েছে। মাঠের চারিপার্শে নিজস্ব ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাজী রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকার ইস্তেমার প্রস্ততি হিসেবে এই ইস্তেমার আয়োজন। জেলার ৬টি উপজেলার তাবলিগির সাথী ভাইয়েরা এতে অংশ নেবেন বলে আশা রাখি। তিনি জানান, এই ইস্তেমাকে সফল করতে ইতিমধ্যে জেলায় ১শত দেশী এবং বিদেশী জামাত বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মাঝে দ্বীনের কাজ করছেন। এই ইস্তেমা থেকে কমপক্ষে ১শত জামাত নগদে চিল্লায় বের হবেন বলে তিনি জানান। ইস্তেমায় ঢাকা থেকে আগত মুসল্লীগণ বয়ান রাখবেন বলে তিনি জানান।

প্রতিদিন আম বয়ান, ৬ ওসুল নিয়ে আলোচনা, এই ইস্তেমা থেকে চিল্লায় যাওয়ার বিষয়ে নাম লেখানোসহ নানাবিধ আমল থাকবে। ঢাকা থেকে তাবলিগ জামাতের মুরববীগণ কোরআন হাদিসের আলোকে তাবলিগের ৬ ওসুল নিয়ে গুরুত্বপুর্ন বয়ান রাখবেন প্রতিদিনই। আগামী শনিবার জোহর নামাজের পূর্বে তিন দিনের এই জেলা ইস্তেমার সমাপ্তি ঘটবে বলে জানা গেছে। ইস্তেমায় আগত মুসল্লীদের নিরাপত্তা রক্ষায় নিজেরাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন তাছাড়া সেখানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের মাধ্যমে রাত দিন পুলিশ প্রহরা থাকবে।

(কেকে/এএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৪)