সুপ্রিয় সিকদার : রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালকদের দৌরাত্ম্যে পথচারীসহ ছোট ছোট যানবাহনের যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন ! মোটরসাইকেল যদি সাথে থাকে তাহলে কাউকে তোয়াক্কা করতে চান না এর চালকেরা। রাস্তায় মোটরসাইকেল চলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন এই মোটরসাইকেল রাস্তা থেকে ফুটপাতে উঠে আসে তখন এই ঘটনা হয় ‘ভয়ানক’। আমাদের রাজধানীতে মোট ফুটপাতের ৮০ শতাংশ দখল করে আছে নানা ধরনের দোকানপাট। বাকি ২০ শতাংশ দিয়ে চলাচল করে সাধারন মানুষ। এই সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তায় নতুন করে ভাগ বসাতে শুরু করেছেন মোটরসাইকেল চালকেরা।

রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা। ব্যাস্ততম এলাকা ফার্মগেট। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়াতে আরও বেশী ব্যাস্ত। যানবাহনের ভিড়, আর প্রচণ্ড গরমে নগরবাসীর নাকাল অবস্থা। বাসের চাকা ঘুরছে না দেখে অনেকেই নেমে গেছেন বাস থেকে। হেঁটেই যাচ্ছেন অফিসে।

তখন কথা হয় প্রাইম ব্যাংক কাওরান বাজার শাখার এক কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, রাস্তায় প্রচণ্ড গাড়ির চাপ। তাই ফার্মগেট থেকে হেঁটেই অফিসে যাচ্ছি। তিনি বলেন, হেঁটেও শান্তি পাচ্ছি না। মনে ভয় কাজ করছে কখন মোটরসাইকেল ফুটপাতে উঠে আসে। তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেল চালকেরা বর্তমানে প্রধান সড়কের চেয়ে ফুটপাতেই মোটরসাইকেল চালাতে বেশী পছন্দ করেন।

সরেজমিনে ফার্মগেট এলাকায় দেখা যায়, রাস্তায় একটু ভিড় থাকলেই মোটরসাইকেল চালকেরা তাদের মোটরসাইকেল উঠিয়ে দিচ্ছেন ফুটপাত দিয়ে। যার ফলে বিপাকে পরছেন সাধারণ মানুষ। এরকম এক মোটরসাইকেল চলেকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভাই রাস্তায় অনেক ভিড়। তাই ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছি। ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো উচিত কিনা এই প্রশ্ন করলে তিনি এর কোনও সদুত্তর না দিয়ে চলে যান।

কোন প্রকার নিয়মনীতিহীন অবস্থায় এসব মোটরসাইকেল চলাচলে অদক্ষ চালকরাই বেশি। মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে অল্প বয়স থেকে যুবকদের অধিকাংশ চালকরা মোটরসাইকেল চালাতে অদক্ষ। জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে যেমন তেমন ভাবে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে পথচারীদের অযথা হেনস্তায় করতে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে আহতদের প্রতি কোন প্রকার সহমর্মিতা প্রকাশ না করে আরো ক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে রাজধানীসহ সর্বত্র মোটরসাইকেলের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মোটরসাইকেল চালকদের মোটরসাইকেল চালানোর দক্ষতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার বিকল্প নেই।

(অ/মে ০৪, ২০১৪)