মাগুরা প্রতিনিধি : ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে তীব্র শীতে অচল হয়ে পড়েছে শালিখা অঞ্চলসহ দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সাধারণ জীবন যাপন। সন্ধ্যা রাত থেকেই জেকে বসছে ঘন কুয়াশা, তার সাথে শৈত্যপ্রবাহ। দুপুর অবধি চোখে পড়ছেনা সূর্যের আলো। কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশী ভোগান্তীতে পড়ছে নিত্য ও শ্রমজীবি মানুষ। স্বাভাবিক কাজ কর্ম না করতে পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে।

সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়ছে তাদের স্কুলগামী সন্তানেরা। যথার্থ শীত বস্ত্র না থাকায় তাদেরকে শুধু মাত্র স্কুল পোশাক পরেই স্কুলে যেতে দেখা যাচ্ছে। ফলে তাদের বেশীর ভাগ লোকই ফুটপাতের দোকান গুলোতে ভীড় জমাচ্ছে পুরাতন শীতবস্ত্র কিনতে। সকাল বেলায় গ্রামের পাড়ায়-পাড়ায় আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।হাট-বাজারে অফিস পাড়ায়লোক জনের সমাগম হচ্ছেনা বল্লেই চলে।স্কুল-কলেজ গুলোতেও উপস্তিতি খুবই কম।তাই সময়ের পূর্বেই ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছে কতৃপক্ষ।অফিসে লোকজন না আসায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। এদিকে দীর্ঘ ঘন কুয়াশার কারনে লোকজন ঘর থেকে বাহির হলেও গত ৩/৪ দিনে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে শুধু মাত্র মাগুরা জেলাতেই গত কয়েক দিনে ১২ জনের প্রানহানী ঘটেছে। মানুষের পাশাপাশি গৃহ পালিত পশু নিয়েও দূর্ভোগে পড়েছে । শৈত্যপ্রবাহের কারনে গরু-ছাগলসহ গৃহ পালিত পশুদেরকে বাইরে নিতে না পারায় অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মালিকদের। শীতের প্রভাবে বয়স্কদের নিয়েও চরম দূর্ভোগে পড়ছে তাদের পরিবার পরিজনরা। এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে দুইটি শৈত্য প্রবাহের সংবাদে আতঙ্কিত এলাকার কৃষকরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধানের চারা তৈরী করা খুবই কঠিন হবে বলে এলাকার কৃষকরা জানান।

(ডিসি/এইচআর/ডিসেম্বর ১২, ২০১৪)