স্টাফ রিপোর্টার : যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে কাদের মোল্লার ছেলের বক্তব্য স্পর্ধার ও আইনের শাসনের প্রতি অবমাননার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে তিনি এ মন্তব্য করেন। চলমান রাজনীতি বিষয়ে এ আলোচনার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমি।

এসময় কাদের মোল্লার ছেলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

সুরঞ্জিত বলেন, নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়ার দৃষ্টি ঝাপসা ছিল, এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। ইউরেপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বক্তব্যে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। ইইউ বলে দিয়েছে, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।

সুন্দরবনের ঘটনায় নৌমন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা ছিল না, এটা তাদের উদাসীনতা। এটা কাম্য ছিল না। চেয়ারম্যান ওখানে গিয়ে বক্তব্য দিয়ে আসলেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা কিছু না। গরীব মানুষরা তেল তুলে বিক্রি করবে, আমরা কিনে নেব’। বিষয়টা সহজিকরণ হয়ে গেলো না! ভাবখানা এমন অপারেশন সাকসেস, পেসেন্ট ডেড।

সব রকম জাহাজ চলাচলে আরেকটু সাবধানতা দরকার বলেও মনে করেন সুরঞ্জিত।

তিনি বলেন, এ সম্পর্কে নৌ মন্ত্রণালয় এতটা উদাসীন আমরা আশা করিনি। ঘটনার চারদিন পর গতকাল উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে গেছে। স্পটে না গিয়ে বা ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ মন্ত্রণালয়। কিছু না হতেই তদন্ত কমিটি! এ ব্যাপারে আরেকটু সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার ছিল। এই কাজে নেভিকে ডাকা উচিত ছিল, তারাই এটা ভালো পারে।

সরকার অবশেষে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের। আর ফখরুল বলেছেন, আন্দোলন ধ্বংসের জন্য নির্বাচন। এর আগে কিছু বুদ্ধিজীবী বলেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন না দিলে সংবিধান লঙ্ঘন হয়। বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে সুরঞ্জিত বলেন, আপনারা যাদের জন্য বলছেন, তারা তো এখন নির্বাচন করতে চায় না। সরকার তো এখন নির্বাচন দিতে ইচ্ছুক। বিএনপি কে স্পষ্ট করে বলতে হবে, তারা নির্বাচন চায় কিনা?

আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন। আপনি চান আর না চান নগরবাসী নির্বাচন চায়।

এসময় তিনি বলেন, রাজপথের সহিংস আন্দোলন শুধু গণতন্ত্রের জন্যই ক্ষতিকর নয়, এর মধ্য দিয়ে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১২, ২০১৪)