শাহজাদপুর ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশা ও নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের সাথে- চট্টগ্রাম ও মংলা সমুন্দ্র বন্দরের সাথে নৌ যোগাযোগ মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এ নৌপথে দু একটি তেলবাহী জাহাজ বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে আসলেও ইউরিয়া সার, কয়লা ও ক্লিংকার নিয়ে গত দু'দিন পণ্যবাহী কোন কার্গো জাহাজ বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে আসেনি।

বাঘাবাড়ী নৌবন্দর একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ১৪টি বাফার গুদামে সার মজুদের জন্য এই নৌপথ দিয়ে চট্টগ্রাম ও মংলা থেকে সার বাঘাবাড়ী নিয়ে আসা হয়। এসব পন্য পরবর্তীতে বাঘাবাড়ী নৌবন্দর থেকে সড়ক পথে তা উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, আসন্ন বোরো মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে কৃষকের চাহিদা পুরনের জন্য ৬৪ লাখ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার ১৪টি বাফার গুদামে মজুদের সিদ্ধান্ত নেয়। তাই গত অক্টোবর মাস থেকে লাইটার কার্গো জাহাজ যোগে ইউরিয়া সার চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়।এ কাজ আগামী মার্চ পর্যন্ত চলবে। অথচ গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশা ও নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে সারবাহী কার্গো জাহাজ সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত চলাচল করতে পারছেনা। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব জাহাজ নগরবাড়ীর ভাটির পাটুরিয়া এলাকায় নোঙর করে থাকছে। পরিবহন ঠিকাদার সুত্রে জানা য়ায়, এ বছর ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে কার্গো যোগে সার পরিবহন করছে। পরিবহন ঠিকাদার ও জাহাজের সারেং মাষ্টারদের তথ্যমতে নগরবাড়ীর বেটারীর চর নামক স্থানে যমুনা নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় ঘন কুয়াশার কারণে এ চ্যানেল দিয়ে রাতে পন্যবাহী কোন জাহাজ চলাচল করতে পারছে না । ফলে এ নৌপথে জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলী জানান, ঘন কুয়াশার ও নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে আবার নৌ চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান। এদিকে বাঘাবাড়ী লেবার হ্যান্ডেলিং এজেন্ট এর প্রতিনিধি আব্দুল মজিদ জানান, নাব্যতা সংকট ও ঘন কুয়াশার কারণে নগরবাড়ীর বেটারীরচর চ্যানেলে জাহাজ থামিয়ে ছোট ছোট নৌকায় জাহাজ থেকে মাল খালাস করে তা বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে আনতে হচ্ছে। এতে তাদের টাকা ও সময় দুই-ই অপচয় হচ্ছে।

(এআরপি/অ/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪)