ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় গত তিন মাসে পারিবারিক বিরোধের জের ও দুর্বৃত্তদের হাতে তিন শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় দুইজন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পাঁচজন, কোটচাঁদপুর উপজেলায় দুইজন, শৈলকুপা উপজেলায় পাঁচজন ও হরিনাকুন্ডু উপজেলায় একজন রয়েছেন। জেলার বিভিন্ন থানা নিহতদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়

১০ জানুয়ারি
কালীগঞ্জ উপজেলার বরাট গ্রামে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে হত্যা করে।

১৮ জানুয়ারি
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিকারী বাজারে এক মাদ্রাসা ছাত্রসহ দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই জোড়া খুনের কোনো কুল কিনারা হয়নি।

২১ জানুয়ারি
ঝিনাইদহ পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামে কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের ইজিবাইক চালককে খুন করে তার গাড়ির ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

২২ জানুয়ারি
কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামে মায়ের হাতে খুন হয় সুমাইয়া নামে এক শিশু।

২৩ জানুয়ারি
কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামে ছেলের হাতে খুন হন আব্দুল গনি ফকির।

২৬ জানুয়ারি
কোটচাঁদপুর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হন স্কুল শিক্ষক ও জামায়াত নেতা এনামুল হক।

২ ফেব্রয়ারি
হরিনাকুন্ডু উপজেলার রথখোলা গ্রামে অপহরণের পড়ে শিশু হযরত আলীকে হত্যা করে একটি কুয়ার মধ্যে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।

৯ ফেব্রয়ারি
মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত স্কুলছাত্রী লক্ষ্মীরানীর লাশ পাওয়া যায় শৈলকুপা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে।

৩ মার্চ
শৈলকুপা উপজেলার সিদ্ধি গ্রামে ময়েন নামে এক ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

১০ মার্চ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী গ্রামে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের বিএনপি কর্মী আব্দুল আজিজকে গলাকেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

শৈলকুপা উপজেলার নলখোলা গ্রামে জুলিয়া নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে তার স্বামী আরিফ।

১৭ মার্চ
শৈলকুপার সাতগাছি গ্রামে গৃহবধূ বিউটিকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

২৪ মার্চ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বদনপুর গ্রামে চাননু নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা।

৩০ মার্চ
শৈলকুপা উপজেলার মিনগ্রামে আজাদ নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করে তার ভাতিজা।

এ সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার বা মামলার ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, এ সব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে বেশির ভাগই সামাজিক ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঘটেছে। পুলিশ সামাজিক বন্ধন তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, জেলায় চরমপন্থি ও অস্ত্রধারীদের এখন তেমন একটা আনাগোনা নেই। তারপরও অপরাধ দমন রাখতে নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।


(ওএস/এটি/ এপ্রিল ০২, ২০১৪)