বরিশাল প্রতিনিধি : ঘন কুয়াশার কারনে নদী মাতৃক দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ ও বাসের নির্ধারিত সময়সূচীতে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। বরিশালে নির্ধারিত সময়ের ৮/৯ ঘন্টা পরে বাস ও লঞ্চ এসে পৌঁছানোর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। একইভাবে বরিশাল থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য রুটে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ ও বাস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেনা।

নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাষ্টার সোহেল রানা জানান, গাবতলী থেকে প্রতিদিন বরিশালের উদ্দেশ্যে যে বাসটি রাত সাড়ে ১১টায় ছেড়ে আসে স্বাভাবিক সময়ে সেটি বরিশাল আসে পরেরদিন ভোর পাঁচটার মধ্যে। কিন্তু গতকাল রোববার দুপুর দুইটার দিকে ওই বাসটি বরিশালে এসে পৌঁছেছে। একইভাবে বরগুনা, আমতলী রুটের পরিবহনগুলোও এসেছে নির্ধারিত সময়ের ৭/৮ ঘন্টা পরে। একই অবস্থা লঞ্চের ক্ষেত্রেও। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সুন্দরবন-৮ লঞ্চ বরিশাল নৌ-টার্মিনালে এসে পৌঁছেছে বেলা এগারোটার দিকে। সুন্দরবন-৮ লঞ্চের মাষ্টার মজিবর রহমান জানান, অন্যান্য সময়ে যেখানে লঞ্চ ঘাটে ভেড়ে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে পাঁচটার মধ্যে, সেখানে বরিশাল নৌ-টার্মিনালে এসেছে বেলা এগারোটার দিকে। এর প্রায় এক ঘন্টা পরে ঘাটে এসে পৌঁছেছে এম.ভি সুরভী, পরাবত ও টিপু লঞ্চ। অপরদিকে জাতীয় দৈনিকের পত্রিকাবাহী গাড়ী বরিশালে এসে পৌঁছেছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় সাত ঘন্টা পরে। সংবাদপত্র এজেন্ট আলম মিয়া জানান, গত এক ডিসেম্বর থেকেই বরিশালে পত্রিকা আসছে কয়েক ঘন্টা পরে। সবচেয়ে বেশি দেরীতে এসেছে শুক্রবার দুপুর বারোটার দিকে। এতে করে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি গ্রাহকেরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার পুনব কুমার রায় জানান, এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুয়াশা ছিলো গতকাল শুক্রবার। যার স্থায়ীত্ব ছিলো দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তাপমাত্রা ছিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঘণ কুয়াশা আরো ২/৩ দিন থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

(টিবি/পি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪)