স্টাফ রিপোর্টার : নৌপথের চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে নৌপুলিশ গঠন করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে নৌপুলিশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। রোববার স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘নৌ-পথে চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, ‘নৌ-পথের চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে নৌ নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশ গঠন করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে নৌ-পুলিশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।’

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘নৌ-নিরাপত্তার পাশাপাশি নৌ-যানের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে কাজ করবে নৌ পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ৭৩০ জন সদস্য নিয়ে নৌ-পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়েছে।’

নৌপথের চাঁদাবাজি বন্ধ করা বিষয়ে শাহজাহান খান জানান, দেশের ১৬টি জেলায় বেশ কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো চাঁদাবাজকেই রেহাই দেয়া হবে না। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নৌ পথের চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ মালা তৈরির জন্য স্বারাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়েও একটি কমিট গঠন করা হয়েছে। এদুটি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নৌ-যানের নিরাপত্তা তথা নৌ-যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ত্রুটিমুক্ত নৌ-যান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে সমুদ্র পরিবহণ অধিদফতর। এছাড়াও ঝড়ো অবহাওয়া ও বর্ষার সময়ে নৌ-দুর্ঘটনা বেশি হওয়ার কারণে নৌ যানের মাস্টার ও ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’

মন্ত্রী আরো জানান, নৌ-দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাত্রে বালুবাহী ভলগেট ও মালবাহী কার্গো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে চলাচলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(ওএস/এটি/মে ০৪, ২০১৪)