নোয়াখালী প্রতিনিধি : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে ৩১বার তপোধ্বনীর মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব, বেসরকারি সংস্থা ও এনজিও’সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এ সময় চরজব্বর থানা প্রশাসনের পক্ষে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ. কে. এম এনামুল কবির। ওই সময় তার পায়ে পুলিশের সু (জুতা) পরা ছিল। মহান বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে জুতা নিয়ে মাল্যদান যুগের নিলজ্জতার বর্হিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ব্যাপারে সূবর্ণচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুভিমল দাস জানান, রাতে তাড়াতাড়ির মধ্যে আমরা বিষয়টি দেখতে পায়নি। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিটি ব্যক্তিকেই শহীদ মিনারে খালি পায়ে উঠতে হয়। ওসি সাহেব জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে শহীদদের প্রতি অসম্মান করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।

জানতে চাইলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোজাম্মেল হক মিলন জানান, এধরনের ঘটনা শহীদদের প্রতি অশ্রদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার সামিল। জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আমরা এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় তিনি কর্র্তৃৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সূবর্ণচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ. কে. এম এনামুল কবির জুতা পায়ের বিষয়টি স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,অসাবধানতাবশত ভুলক্রমে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে।

(জেএইচবি/পি/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪)