বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির সর্বত্র সরিষা চাষ হয়েছে। চলতি রবিশষ্য মৌসুমে ৯ হাজার ৭৩৪ হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন অভিমত ব্যক্ত করলেন উপজেলা কৃষি অফিসার শাহাদুজ্জামান।

মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুষম সার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ওই কৃষিবিদ মনে করেন। তার মতে, ফলন বাড়াতে ফসলের রকম ভেদে শ্রেণী বিশেষ সারের প্রয়োগ অত্যাবশ্যক। কৃষকদের অসচেতনতার কারনে নির্ধারিত সার প্রয়োগ না করায় ফসলের ফলন ঘাটতি পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, সরিষা চাষের জন্য জিপসাম সার ও বরণ সার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিপসাম সারে গাছের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং দানা ভাল হয়ে ফলন বাড়াই। জৈব সার মাটির শক্তি বৃদ্ধি করে ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে। এ এলাকার ফসলের জমির মাটি অনেক সময় সালফারহীন হয়ে পড়ে। ফলে মাটির সালফার বাড়াতে এবং শ্রেণী বিশেষ ফসল উৎপাদন করতে যথা নিয়মে সঠিক সার ব্যবহার করলে একদিকে যেমন কীট পতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে চরম সহায়তা আসবে। কৃষকদের অবশ্যই সচেতন হয়ে ফসল উৎপন্ন করতে হবে।

আদমদীঘি উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাতে চলতি বছরে রবিশষ্য ৩ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আলু ও ৩ হাজার ৩ শত ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে আদমদীঘি ইউনিয়নে ৮শ ২০ হেক্টর আলু, ৬শ ১০ হেক্টর সরিষা, নশরতপুর ইউনিয়নে ৭শ হেক্টর আলু, ৪শ ৮৫ হেক্টর সরিষা, চাঁপাপুর ৫শ ২০ হেক্টর আলু ৬শ ৭৫ হেক্টর সরিষা,ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে ৭শ ৫০ হেক্টর আলু ৬শ ৪০ হেক্টর সরিষা, সান্তাহার ইউনিয়নে ১৫০ হেক্টর আলু ২শ ৪০ হেক্টর সরিষা, সান্তাহার পৌরসভায় ৬০ হেক্টর আলু ১৫০ হেক্টর সরিষা, কুন্দ্রগ্রাম ইউনিয়নে ৫শ ৫০ হেক্টর আলু ও ৫শ ৭০ হেক্টর সরিষা আবাদ হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শাহাদুজ্জামান জানান, গত বছর এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে। এতে কৃষকেরা লাভ ভাল পাওয়ায় এবারও সরিষার আবাদের জন্য ঝুঁকে পড়েছে।

(এএসবি/এসসি/ডিসেম্বর১৭,২০১৪)