কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলাব্যাপী ইয়াবা বিরোধী বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নতুন কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর এ কৌশলের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলার ৫ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একযোগে বদলির পর এবার আরো ১০৭ সদস্যকে এক যোগে বদলি করা হয়েছে।

এর মধ্যে উপ পরিদর্শক (এসআই) রয়েছেন ১৬ জন, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) ১৭ জন এবং কনস্টেবল রয়েছেন ৭৪ জন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ ১০৭ পুলিশ সদস্যের বদলির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কি কারণে এ বদলি করা হয়েছে তা বলেননি তিনি।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন পরে হলেও ইয়াবা পাচার রোধে কক্সবাজার জেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। কোনভাবে যাতে ইয়াবা পাচার করতে না পারে তার জন্য বিশেষ অভিযানও শুরু হয় গত এক মাস ধরে।

এতে ইয়াবা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬ জন ইয়াবা শীর্ষ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৮ জন। এ ঘটনার পর ইয়াবার চিহ্নিত গডফাদাররা আত্মগোপনে চলে গেলেও বন্ধ হয়নি ইয়াবা পাচার। বরং নতুন কৌশলে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখা হয়েছে।

আর এ ইয়াবা পাচার রোধে নতুন কৌশল হিসেবে আরো ১০৭ পুলিশ সদস্যের এক যোগে বদলি করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আরো বেশ কয়েকজনের বদলির প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে কক্সবাজার জেলার ৫ জন ওসিকে একযোগে বদলি করা হয়। বদলি হওয়া ওসিরা হলেন- টেকনাফ থানার রণজিত কুমার বড়ুয়া, উখিয়া থানার জাহিদুল কবির, রামু থানার অপেলা রাজু নাহা, কক্সবাজার সদর মডেল থানার জসিম উদ্দিন ও চকরিয়া থানার ফরহাদ হোসেন। এরই মধ্যে ওইসব থানায় নতুন ৫ জন ওসি যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।

(ওএস/এইচআর/মে ০৫, ২০১৪)