চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে অপহরণের এক সপ্তাহ পর সোমবার ভোরে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে ফেলে রেখে গেছে অপহরণকারী চক্র। এলাকাবাসী অপহৃতকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় অপহৃতার মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সেনগ্রাম মহাজের পাড়ার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে অষ্টমনিষা বালিকা উচচ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (১৪) কে গত ১৫ ডিসেম্বর সেনগ্রাম হিন্দুপাড়ার নির্মল সূত্রধরের ছেলে মিঠুন সূত্রধর (২২) তার ২ সহযোগি আলমগীর ও লিটনকে নিয়ে অপহরণ করে। সাবিনা ওই দিন তার মামার বাড়ি যাচ্ছিল পথিমধ্যে জাবরকোল ব্রীজের কাছে একটি সিএনজি অটোটেম্পু করে তাকে অপহরণ করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবিনা ইয়াসমিন জানায়, তাকে রেলবাজার এলাকায় আলমগীরের বাড়িতে আটকে রেখে মিঠুন প্রতি রাতেই তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। অপহরণের পর অপহৃতার মা লেকজান বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সাবিনাকে উদ্ধারে তৎপর হলেও এক সপ্তাহে উদ্ধার করতে পারেনি। এক পর্যায়ে সোমবার ভোরে ওই তিন দুর্বৃত্ত একটি সিএনজি যোগে সাবিনাকে শাহনগর ইটভাটার কাছে ফেলে রেখে চলে যায়।

ইটভাটার শ্রমিকরা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাবিনার বাড়িতে খবর দেয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সাবিনার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ জানায়। সাবিনার মা থানায় মামলা করেছে। পুলিশ অপহরণকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এ দিকে ঘটনার পর মিঠুনের পিতা নির্মল সূত্রধর বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। মিঠুনের বোন বরেন সূত্রধর চাটমোহর থানায় মিঠুণ নিখোঁজ হয়েছে বলে একটি জিডিও করেন। সাবিনা আরো জানায়, মিঠুণ তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে আটকে রাখে। তাকে মারধর করাসহ মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। আলমগীর ও লিটন তাকে সহযোগিতা করে।

ওসি সুব্রত সরকার জানান, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাবনা পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

(এসএইচএম/পি/ডিসেম্বর ২২, ২০১৪)