মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সকল বীর সেনানী জীবন বাজি রেখে সম্মুখ সমরে পাহ হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন অথবা যারা জীবিত আছেন তাদের সকলকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করার দাবি জানিয়েছেন এবার মৌলভীবাজারের এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুল ওয়াহীদ চৌধুরী, তিনি এ বিষয়ে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করে শহীদ হন। মাত্র সাড়ে নয় মাসের যুদ্ধে এতো লোক শহীদ হওয়ার ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে খুব কমই পাওয়া যাবে। এই সব বীর শহীদের বেশীর ভাগই ছিলেন গ্রাম বাংলার সন্তান। তাদের অনেকেরই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি পর্যন্ত ছিলনা। ছিলনা কোন প্রকারের সামরিক প্রশিক্ষণ। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন করতে হবে। মনে ছিল অদম্য সাহস, বুকে ছিল বল। এটার উপর আস্থা রেখে অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা। দেশের স্বাধীনতা ছাড়া আর কিছুই চাওয়া পাওয়ার ছিলনা তাদের।

পাক বাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও বুলেটেরই আঘাতে তারা শহীদ হন। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর আজ বিভিন্ন মিডিয়ায় এই সব নির্যাতন আর অত্যাচারের কথা প্রকাশিত হচ্ছে। যাহা শুনলে দু’চোখে পানি এসে যায়। স্বাধীনতাত্তোর মাত্র সাতজন বীর শহীদকে বীরশ্রেষ্ঠ, খেতাবে ভূষিত করা। এই সাতজন ছাড়া আর কোন শহীদকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয় নাই। যারা আমাদের মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার জন্য হাসি মুখে জীবন উৎসর্গ করলেন তারা কি বীরশ্রেষ্ঠ নয়? সুতরাং আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা উচিত । তা হলে শহীদদের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। আব্দুল ওয়াহীদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৪ নং সেক্টরের অধীনে মৌলভীবাজার জুরী উপজেলার দিলকোষ চা বাগানে সংঘটিত ৬ নভেম্বরের যুদ্ধে হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুর রকীব চৌধূরী ছেলে।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪)