কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ছয় বছরের শিশু সুমি কে নৃশংশভাবে ছয় টুকরো হত্যা মামলার আসামী জলিল পাহোলানকে অবশেষে ৫৫ দিন পর পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহীপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে মামলার মূল আসামী খলিল পাহোলান এখনও পলাতক রয়েছে।

গত ৪ নভেম্বর রাতে কলাপাড়ার মহীপুরের নিজামপুর গ্রামের হামিদ মৃধার শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সুমিকে ছয় টুকরো করে হত্যা করা হয়। পাষন্ডরা তার মাথা, দুই হাত ও দুই পা কেটে দেহের খন্ডবিখন্ড অংশ ধান ক্ষেতের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখে। শিয়াল-কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য তারা এই লাশের টুকরো সুমিদের বাড়ি থেকে প্রায় তিনশ মিটার দূরের ধান ক্ষেতে ফেলে দেয় বলে নিহত স্কুল ছাত্রীর মা শাহীনুর বেগম অভিযোগ করেন।

এদিকে উপকূলীয় বর্বর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফুঁসে ওঠে গোটা কলাপাড়ার মানুষ। নিজামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্রী সুমি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাস ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনসহ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের পাঠদান ১৫ মিনিট বন্ধ রেখে একযোগে উপজেলার ২০৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী মৌন মানববন্ধন ও বিশেষ প্রার্থনা করে।

সুমির বাবা হামিদ মৃধা অভিযোগ করেন, ঘটনার পরদিন ৫ নভেম্বর খলিল পাহোলানকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এখনও সে রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ কারনে তারাও এখন শংকিত রয়েছে। কেননা যে পাষন্ড ছয় বছরের শিশুকে ছয় টুকরো করে হত্যা করতে পারে সে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ জাফর সাংবাদিকদের জানান, মূল আসামীকে গ্রেফতারের জন্য তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করলেই হত্যার মূলরহস্য বের হয়ে আসবে।

(এমকেআর/এএস/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪)