আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : প্রকৃত সুবিধাভোগীদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে পছন্দ মতো ব্যক্তিদের তালিকায় অর্ন্তভূক্তি, উৎকোচের মাধ্যমে জেলার দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের ১৩টি ইউনিয়নের দু:স্থ ও অসহায় মহিলাদের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের নামের তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অতিদরিদ্র পরিবারের প্রধান যার অন্যকোন আয়ের উৎস নেই এবং যাদের জমি ০.১৫ শতকের নীচে তারাই কেবল ভিজিডি কার্ড পাওয়ার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবেন।

এছাড়াও ইউনিয়ন ভিজিডি উপকারভোগীদের বাছাই কমিটি তালিকা তৈরির বিধান রয়েছেন। সরকারের এসব নির্দেশ এ উপজেলায় কোনটিই বাস্তবায়িত হচ্ছেনা।

অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ ইউপি সদস্যরা দালালদের মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হয়ে ভিজিডি’র তালিকায় প্রকৃত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের নাম তালিকাভূক্ত করেছেন। ফলে বাদ পরেছেন প্রকৃত দু:স্থরা।

চর গোপালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মৃত শহীদের বিধবা স্ত্রী সাহের বানু আক্ষেপ করে বলেন, মোর স্বামী দুই বছর আগে মারা গেছে। চেয়ারম্যান মোরে বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা কইয়া আইজ পর্যন্ত দেয়নাই। মুই ভিজিডি কার্ডের জন্য মেম্বারের কাছে গেছিলাম। হে মোর ধারে ২ হাজার টাহা দাবি করছেলে। টাকা দিতে না পারায় মোরে কার্ড দেয়নায়।

ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান আমাদেরকে নাম দিতে বলার পর আমরা নামের তালিকা দিয়েছি। গ্রামবাসীর সামনে ভিজিডি কার্ডের বাছাই করার নিয়ম আছে কিনা সে বিষয়টি আমার জানা নেই।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ২১৯টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ১০ নবেম্বরের মধ্যে ভিজিডি কার্ড বিতরনের কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যানরা সময়মতো তালিকা দিতে না পারায় তা বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেন, লোকমুখে কতিপয় ইউপি সদস্য কর্তৃক দু:স্থদের কাছে টাকা চাওয়ার খবর পেয়েছি।

এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তালিকা থেকে বাদ পরেছে কিনা সে বিষয়ে পূর্নাঙ্গ তালিকা হাতে পেলে যাচাই-বাঁচাই করে অনুমোদন করা হবে।

(টিবি/এটিআর/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪)