আড়াইহাজার(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : ১৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গুলিবিদ্ধ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার আঃ রউফ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা গেছে। এই খবর এলাকায় পৌছালে নিহত আঃ রউফের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা মনির হোসেন নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় কমপক্ষে তিনজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে।

সাবমিয়ার বাড়ি ও রুকু মেম্বারের দোকানপাট ভাংচুরসহ লুটপাট করে। বুধবার সকাল ৮ টায় উপজেলার মেঘনা বেস্টিত দুর্ঘম কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের পুর্বকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ও খাগকান্দা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে সক্ষ্মম হলেও বিকেলে আরেক দফা সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। উত্তেজনা পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান, আড়াইহাজার থানার ওসি মোঃ আলমগীর।

এদিকে খাগকান্দা ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক খালেদ হাসান জানান, আঃ রউফ বুধবার সকাল ৭ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত আঃ রউফ উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্বকান্দি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আঃ জব্বার মিয়ার ছেলে। তার চোখে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলো। সে পেশায় অটোরিক্সা সিএনজি চালক। তার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ৮ ডিসেম্বর সকালে চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে মেঘনা নদী বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্বকান্দি এলাকায় আম্বর আলী ও মোস্তফা পরিবারের মধ্যে বাতবিতন্ডা থেকে ভারী বন্দুক নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আঃ রউফসহ ৮ জন গুলিবিদ্ধ এবং আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ সকলকেই ওইদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় পুলিশ মোস্তফা নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

(ইএ/পি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪)