ময়মনসিংহসহ শেরপুরে দুই শতাধিক অবৈধ বেকারীর জমজমাট ব্যবসা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ জেলার অধীনে দেড় শতাধিক, শেরপুর জেলার অধীনে শতাধিক অবৈধ বেকারী গড়ে উঠেছে। সহজ সর্তে বেকারীর মালিকরা প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় অবৈধ বেকারীতে পর্যাপ্ত মাল উৎপাদন করে দুটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট বড় বাজারে মাল ডেলিভারী দিয়ে সুবিধা ভোগীচক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন। এতে বেড়েছে নানা অসুখ-বিসুখ। পেটের পীড়া সহ নানা রোগের আক্রমনে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। এসব বেকারীতে দেখা যায়, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, মশা, মাছি,ইঁদুর মরে পড়ে আছে। অন্যদিকে রুটি,বিস্কুট,কেক,ট্যুস সহ শতাধিক আইটেমের মালামাল তৈরি করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে যেমন নিচ্ছে, তেমনি ভাবে নতুন রোগের সৃষ্টি করছে এসব বেকারী গুলো। একদিকে অপুষ্টিকর উপাদানে তৈরি অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ অনুমতিবিহীন।
সূত্র মতে জানাযায়, ময়মনসিংহ জেলার ১৩ উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে এসব বেকারী ঠিক তেমনি শেরপুর জেলার চিত্র একই রকম। শেরপুরে আলালের মোহাম্মদিয়া বেকারী, রাসেল ব্রেড এন্ড কনফেকশনারী, বরকত ব্রেড এন্ড কনফেকশনারী, মিন্টু বেকারী সহ নাম ছাড়া আরো অর্ধশত বেকারী এসব সুবিধা ভোগী বেকারীর মালিকরা স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ করে সিভিল সার্জন অফিসের কেরানী জেলা ও সদর স্যানেটারী ইনপেক্টরকে দৈনন্দিন-মোটা অংকের ভাতা দিয়ে এরা এসব অবৈধ বেকারী চালিয়ে নিচ্ছে। এদের কোন প্রকার অনুমতি নাই। বিএস.টি.আই এর অনুমতির ধার না ধারে এরা স্থানীয় প্রশাসনকে বখড়া দিয়ে এসব অবৈধ বেকারীর মালিকরা পুরোদমে ব্যবসা করে নিচ্ছে। পাশে শেরপুর জেলার কিছু অবৈধ বেকারীর লগো সহ চিত্রতুলে ধরা হল। এতেও কি প্রশাসন নাকে তেলদিয়ে ঘুমাবে, নাকি এদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলার আওতায় আনবে? সাধারণ মানুষের এ প্রশ্নের উত্তর কী মিলবে?
(বিএ/পি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪)