ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : গত ২৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার গোয়ান্দা পুলিশ (ডিবি) এক অভিযান চালিয়ে ভালুকা চাঞ্চল্যকর একই পরিবারে ৪জন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী তনুকে গাজীপুর জেলা টঙ্গি থানার এরমাদনগর এলাকায় থেকে গ্রেফতার করেছে। এর পূর্বে পুলিশ রফিকুল ইসলাম ও হোসনাকে গ্রেফতার করে।

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার লবনকোড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর একই পরিবারের ৪ সদস্য হত্যা মামলার সন্দেহভাজন অন্যতম প্রধান আসামী হাজিজুর রহমান তনু (৩৫), পিতা- মৃত খন্দকার শামছুর রহমান, মাতা-রাবিয়া বেগম, সাং-পুরাতন কসবা কাজীপাড়া (আমতলা মোড়), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-যশোরকে ময়মনসিংহ ডিবিতে কর্মরত মামলাটির তদন্তকারী অফিসার এসআই/মনিরুজ্জামান সঙ্গীর অফিসার ও ফোর্সের সহযোগীতায় গাজীপুর জেলার টঙ্গি থানাধীন এরমাদনগর এলাকায় মধ্য রাতে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত বাচ্চুর ঘরে বিছানার নীচ হাতে হত্যাকাজে হ্যবহৃত একটি ‘দা’ এবং তার শশুরবাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর থানাধীন মৌজেবালী গ্রামে খড়ের পালার ভিতরে নিহতের ঘর থেকে নেয়া কাপড়-চোপড় ভর্তি একটি বস্তা, ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত অপর আসামী তনুর ভায়রা ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহতের ঘর থেকে নেয়া একটি ২১“ ইঞ্চি রঙ্গিন টিভি ও এম.প্লি ফায়ার উদ্ধার করা হয়। আসামী তনুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত রফিকুল ইসলাম @ বাচ্চু আসামী তনু’র পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী তনু প্রথমে বাচ্চুকে গাড়ীর মধ্যে ‘দা’ দিয়ে কুপিয়ে, পরে তার ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে কুপিয়ে এবং তার দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যা পরবর্তী তার ভায়রা ভাই রফিকুল ইসলামের সহযোগীতায় নিহত বাচ্চুর ঘরে থাকা টিভি, নগদ টাকা, কাপড়-চোপড় ও স্বর্ণ/রূপার অলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(বিএ/এএস/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪)