বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে এবার আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা বৈরী আবহাওয়ায় শীতের ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে আলু চাষের জমির পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছে। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলাকে শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। নন্দীগ্রাম উপজেলায় বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ হয়। আমন ধান কাটার পর শুরু হয় রবিশস্য’র চাষাবাদ।

এবারও নন্দীগ্রাম উপজেলায় রবিশস্য’র ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সেখানে আবাদ হয়েছে ২৪শ’ ২৫ হেক্টর জমি। এতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৩শ’ ৭৬ মেট্রিক টন।

এদিকে কৃষকরা আলুর বাম্পার ফলনের জন্য আলুর জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। প্রতিকূল ও বৈরী আবহাওয়ায় শীতের কুয়াশা উপেক্ষা করে কৃষকরা আলুর জমি পরিচর্যা করছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে এবারও নন্দীগ্রাম উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হবে। বিগত দিনের চেয়ে এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় আলুর চাষ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নন্দীগ্রাম উপজেলায় কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, এসট্রিক্স, পাকড়িসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ হয়েছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের আলু চাষী মামদুদ ও মোরশেদুল বারী জানান, আমরা যথাযথভাবে আলুর জমির যত্ন করছি। এতে আশা করা যায় আলুর ভাল ফলন হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার মশিদুল হক জানান, সব ধরণের ফসল ভালভাবে উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছে। তাই আলুর বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশা করি। আর দেড় মাস পরেই পুরোদমে আলু তোলা শুরু হবে। তাই কৃষকরা আলুর জমি যত্নসহকারে পরিচর্যা করছে।

(এএসবি/এএস/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪)