নিউজ ডেস্ক : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রতিবারের মত এ বছরও জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। ৮ মে সকাল ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। স্বাগত ভাষণ দেবেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এনডিসি। রবীন্দ্র স্মারকবক্তা হিসেবে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী উপস্থিত থাকবেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ও রবীন্দ্রনাথ’।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান, মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মোল্লা আহমদ কুতুবুদ্দীন।
জানা যায়, ৮ মে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্ব ছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমীতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর ও খুলনার দক্ষিণ ডিহিতে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তার ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে।
কবিগুরুর ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৯ মে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বাংলা একাডেমি। ঢাকাসহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। যে সকল জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে না, সে সকল জেলার জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠনপূর্বক যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করবে। স্থানীয় কমিটিতে রবীন্দ্র গবেষক, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক ও গুণীজন অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলসমূহ ব্যাপকভাবে সম্প্রচার করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রদান করবে।

(ওএস/এএস/মে ০৫, ২০১৪)