স্টাফ রিপোর্টার : গবেষণাপত্রের ভেতরে না থেকে গণমাধ্যম ও সমাজকর্মীদের দয়া করে বাস্তবে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, আপনারা আমাদের (রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তা) জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন। আমাদের চোখের পানি ঝরান।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন।

‘রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) স্টাডি ডেসিমিনেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে যৌথভাবে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সার্ভিস গ্রুপ, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনসহ ছয়টি সামাজিক সংগঠন।

কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাংবাদিক বা মিডিয়া ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এই আইন পালন ও বাস্তবায়নের ভূমিকা উৎসাহব্যঞ্জক নয়। এর সঙ্গে আইন তৈরিতে সদস্যদের মনোযোগও নেই। এ জন্য এর বাস্তবায়ন ও সঠিক পরিপালন হচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে আইন ভঙ্গের বিস্তারিত রিপোর্ট নেই। নেতানেত্রীর সমালোচনা, গালাগালিই প্রাধান্য পায়। আমরা আইন ধরে ধরে কাজ করলে জেলা প্রশাসকদের ঘাম ঝরে যাবে। এমপিরা কাঁপতে থাকবেন। কারণ, প্রতিটি সংসদীয় আসনে এক বছরে প্রায় এক হাজার ৫শ মণ গম/চাল যায়। এগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে সঠিকভাবে খরচ হয় কিনা খবরদারি করলে চুরি কমে যায়।

খাসজমি উদ্ধার ও বিতরণ, ট্রেড ইউনিয়ন করা, সরকারি অফিসে জনগণ সুযোগ-সুবিধা পায় কিনা নজরদারি করা যাবে এই আইনের মাধ্যমে বলেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী ইনু বলেন, এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নেওয়ার কাজটুকু এলাকার গণমাধ্যম করে না। কোনো এনজিও করে না। এগুলোর খবর নেওয়ার অধিকার ও দায়িত্ব গণমাধ্যমের।

এ সময় তথ্য বিকৃতির দেয়াল ভেঙে ফেলতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, যে সরকারি কর্মকর্তা তথ্য দিতে গড়িমসি করবে, তার শাস্তির বিধান আছে। তথ্য আদায়ে গণমাধ্যম ও সমাজকর্মীরা আরো উদ্যমী হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করি।

বাংলাদেশ লেবার ওয়ালফেয়ার ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল জেড এম কামরুল আনামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন গবেষণা টিমের প্রধান জয়ন্ত রায়।

উদ্বোধনী অধিবেশনের পর এ কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্যানেল ও উন্মুক্ত আলোচনা এবং সমাপনী অধিবেশন রয়েছে।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪)