স্টাফ রিপোর্টার : ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেক্ট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যের বাজারে খুব দ্রুত শীর্ষে উঠে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। অতি দ্রুত বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে মার্সেল পণ্য পৌঁছে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। নতুন বছরে জনপ্রিয় মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য সম্ভারে যুক্ত হচ্ছে আরও ৩২টি কিচেন ও হোম এ্যাপ্লায়েন্স পণ্য।

জানা গেছে, মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পণ্যের নতুন নতুন মডেল বাজারে আনার প্রস্তুতি চলছে। নতুন বছরের শুরুতে এসব পণ্য ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়া হবে। উচ্চমানের পণ্য, সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা এবং দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মার্সেলের পণ্য ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

বর্তমানে পুরোদেশকে ১৪টি অঞ্চলে বিভক্ত করে বিপণন কার্যক্রম চালাচ্ছে মার্সেল। ‘টু চেঞ্জ লাইফ স্টাইল’ শ্লোগান নিয়ে এগিয়ে চলেছে মার্সেল ব্র্যান্ডের কার্যক্রম। দেশজুড়ে রয়েছে মার্সেলের ৪৫০টি এক্সক্লুসিভ বিক্রয় কেন্দ্র। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় মার্সেল গ্যালারি নামে একটি নিজস্ব আধুনিক বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

মার্সেলের বিপণন বিভাগের প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মার্সেলের অবস্থান দ্বিতীয়। গড় প্রবৃদ্ধি ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের মতো। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল ও হোম এ্যাপ্লায়েরন্স পণ্যের ৩০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিজেদের দখলে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মার্সেল ব্র্যান্ডে আরও কিছু উচ্চ মানের নতুন প্রযুক্তিপণ্য যুক্ত হচ্ছে। যা তাদের বাজার সম্প্রসারণ ও বাজার আধিপত্য স্থাপনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি জানান, গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় (আইএসও ৯০০১ এবং ১৪০০১ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত) এ দেশের আবহাওয়া উপযোগী করে তৈরি হচ্ছে মার্সেল পণ্য। আমদানি করা পণ্যের তুলনায় মার্সেল পণ্য অনেক বেশি টেকসই ও আকর্ষণীয় বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, মার্সেল ফ্রিজে ডিইসিএস আলট্রাব্রিড ফোর-ডি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রযুক্তির বিস্ময় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার করার ফলে ফ্রিজে রক্ষিত খাবার দীর্ঘক্ষণ সতেজ, টাটকা ও জীবাণুমুক্ত থাকছে। ৮০ শতাংশ এনার্জি সেভিং এলইডি বাল্ব ব্যবহার করায় বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে তুলনামূলক কম। বছরে ৩ লাখ টেলিভিশন উৎপাদন হচ্ছে মার্সেল কারখানায়। পাশাপাশি মার্সেল বাংলাদেশে শীর্ষস্থান দখলে কিছু নীতিগত কৌশল হাতে নিয়েছে। দেশব্যাপী ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ করা হচ্ছে।

মার্সেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা দাবি করেন, দেশীয় ফ্রিজের বাজারে এখন ওয়ালটনের পরেই মার্সেলের স্থান। তাদের প্রত্যাশা দেশে বাজারজাতকারী সকল ব্র্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়া। সে লক্ষ্যে আগামী বছর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছেন তারা। নেয়া হচ্ছে আধুনিক বিপণন কৌশল। বিশেষ করে ফ্রিজের বাজার সম্প্রসারণে গড়ে তুলেছে পণ্য গবেষণা কেন্দ্র।

মার্সেল এখন ফ্রিজ, টিভি, মোটরসাইকেল, এসি, জেনারেটর, ডিভিডি প্লেয়ার, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েব ওভেন, আইরনসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করছে। ২০১৫ সালের শুরুতেই যুক্ত হচ্ছে আরো ৩২ টি হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স পণ্য। বর্তমানে বাজারে এসব পণ্যের ভালো চাহিদা রয়েছে। মার্সেল বর্তমানে ১৮ থেকে ২০টি মডেলের ফ্রিজ বাজারজাত করছে।


মার্সেল কর্তৃপক্ষের দাবি- রপ্তানি কোয়ালিটি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে যারাই মার্সেল পণ্য কিনছেন তারাই এর প্রসংশা করছেন।

(এমএ/এএস/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪)