হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে আজ রবিবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি গউছ সকালে হবিগঞ্জের আমলি আদালত-১-এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পরপরই জি কে গউছকে হবিগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিবরিয়া হত্যা মামলায় আত্মসমর্পণ করেন গউছ। তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী আরিফুল হক চৌধুরী ও খালেকুজ্জামান চৌধুরী। তাঁরা আদালতের কাছে যুক্তিতর্ক তুলে ধরে বলেন, জি কে গউছকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক মামলা।

অন্যদিকে সরকারি কৌঁসুলি আকবর হোসেন জিতু ও বাদীপক্ষের আইনজীবী আলমগীর ভুঁইয়া বাবুল জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। দেড় ঘণ্টার শুনানি শেষে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রোকেয়া আখতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে গউছকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মাকসুদুর রহমান জানান, এ আদেশের পরপরই আদালত এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনসহ ২২ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ তিন-চারজনকে আটক করে। সংঘর্ষ চলাকালে হবিগঞ্জে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বেলা আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গত ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ আমলি আদালত-১-এ কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুননেসা পারুল। এ অভিযোগপত্রে হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জি কে গউছ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ নয়জনকে নতুন করে অভিযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৫ জনে দাঁড়াল।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪)