হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : পৌরমেয়র, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জি কে গউছকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে হবিগঞ্জ। গউছের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় পুলিশের ওপর চড়াও হয় স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনসহ ১০ জন ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ১০টি গাড়িও ভাঙচুর করে গউছ সমর্থকরা। এ সময় ১০ জনকে আটক করে পুলিশ।

জানা গেছে, রবিবার সকাল ১০টার দিকে গউছ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে দুপুরে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন- এমন গুঞ্জনে শহরজুড়ে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। বেলা একটা পর্যন্ত বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৮ জুন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া চার্জশিটের ওপর হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল কোর্টে নারাজি আবেদন করেন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের চার্জশিটের নারাজি আবেদন গ্রহণ করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এরপর নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডির এএসপি মেহেরুন নেছা পারুলকে। এ মামলার অন্যতম আসামি হারিছ চৌধুরী পলাতক।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪)